ঢাকায় আইএমএফ ডিএমডি
ঋণ নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করতে গতকাল শনিবার বাংলাদেশে এসেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ। তার সঙ্গে আইএমএফ মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দ ছাড়াও আরও চারজন রয়েছেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রোববার সকাল দশটায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সাথে প্রতিনিধি দলটির বৈঠক করার কথা রয়েছে। এরপর দুপুরে ঢাকার একটি হোটেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে বৈঠক করবেন আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ। এ সময় অর্থবিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থবিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
পরদিন ১৬ জানুয়ারি সকাল দশটায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবে প্রতিনিধি দলটি। এ সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, যুগ্মসচিব আবু দাইয়া মোহম্মদ আহসানউল্লাহ উপস্থিত থাকবেন। ওইদিন বিকেলে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন আন্তোয়নেট মনসিও সায়েহ।
১৭ জানুয়ারি প্রতিনিধি দলটি যাবে জাতীয় সংসদে। সেখানে স্পিকারের সাথে বৈঠক করবে তারা। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ আয়োজিত মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন আইএমএফ ডিএমডি। ১৮ জানুয়ারি প্রতিনিধিদলটি যাবে পদ্মা সেতু দেখতে এবং ওই দিনই তারা ঢাকা ছাড়বেন। এছাড়া সফরকালীন সময়ে প্রতিনিধি দলটি মেট্রোরেল এবং একটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শনেও যাবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, গত জুলাইয়ে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চেয়ে আইএমএফকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এরপর গত ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে দুই সপ্তাহের বৈঠক করে গেছে রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আইএমএফের দল। দলটি চলে যাওয়ার দিন আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে যায় যে, বাংলাদেশ ঋণ পেতে পারে।
আইএমএফের দলের সঙ্গে অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের বৈঠকে প্রধানত আর্থিক খাতের সংস্কারের বিষয়গুলো উঠে এসেছে। মিশন চলে যাওয়ার পর পার হয়েছে দুই মাস। এরই মধ্যে সম্ভাব্য শর্তগুলোর একটি প্রাথমিক খসড়া তৈরি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থবিভাগ।
অর্থবিভাগের মতে, মোটাদাগে শর্ত তিনটি। আর তিন শর্তের আওতায় রয়েছে আরও ২৪টি উপশর্ত। এসব বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।