রাত পেরোতেই সাতক্ষীরায় কাঁচামরিচ কেজিতে বাড়ল ১০০ টাকা
আবারও সাতক্ষীরার কাঁচামরিচ বাজারে উত্তাপ ছড়িয়েছে। খুচরা বাজারে এখন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা। রাত পোহাতেই দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। অনেক খুচরা বিক্রেতা বাদ দিয়েছেন কাঁচামরিচ বিক্রি।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত শহরের সুলতানপুর বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একেক বিক্রেতা একেক দামে বিক্রি করছেন কাঁচামরিচ। পাইকারিতে কেউ বিক্রি করছেন ৪০০ টাকা কেউবা ৪২০-৪৫০ টাকায়। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা কেজি দরে। অথচ একদিন আগে পাইকারি বিক্রি হচ্ছিল ৩৫০-৪০০ টাকায়।
সুলতানপুর বড়বাজারের মেসার্স রাসেল ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী রজব আলী খাঁ বলেন, "আমি ভারতীয় কাঁচামরিচ প্রতি কেজি পাইকারি দরে বিক্রি করছি ৪৫০ টাকা। গতকাল বিক্রি করেছিলাম ৩৫০ টাকায়।"
একদিনের ব্যবধানে ১০০ টাকা বেশি কেন প্রশ্নে তিনি বলেন, "যে দরে কিনছি কিছুটা লাভ রেখে বিক্রি করছি। দেশে উৎপাদন না থাকায় দাম বেড়েছে।"
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম বেশি থাকায় অনেক খুচরা ব্যবসায়ী বিক্রি করছেন না কাঁচামরিচ। তারা বলছেন, "দাম এত বেশি সাধারণ মানুষ কিনতে পারছে না। তাই বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছি। দাম কমলে আবার বিক্রি করবো।"
বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারা এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এদিকে গত চারদিনে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ২৩৬ মেট্রিক টন ভারতীয় কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে।
এর আগে ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, "ঢাকা ও চট্টগ্রামের বড় ব্যবসায়ীরা কাঁচামরিচ আমদানি করে নিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় না। সেকারণে স্থানীয় বাজারগুলো কাঁচামরিচ পাচ্ছে না।"
আমদানি যথেষ্ট তবে সরবরাহ কম কেন, এমন প্রশ্নে কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাবু জানান, "বন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা এখানে পণ্য দেয় না। কারণ তাদের কাছ থেকে নিতে গেলে ট্রাক ট্রাক নিতে হবে। ভোমরা বন্দরের কাঁচামরিচ বাজারের ব্যবসায়ীরা কিনছে খুলনার আড়ৎ থেকে।"