রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের শঙ্কা থেকে আইএমএফ থেকে ঋণ নিয়েছে সরকার: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর শঙ্কিত হয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণ নিয়েছে সরকার। কারণ সরকারের ধারণা ছিল না এই যুদ্ধের প্রভাব কী হবে।
বৃহষ্পতিবার সচিবালয়ে ঢাকা সফররত জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকার এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়ামাদা জুনিচি-র সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'হঠাৎ করেই বৈদেশিক মুদ্রার খরচ বাড়তে দেখে সরকার ভয় পেয়ে আইএমএফের দারস্থ হয়।'
আইএমএফ থেকে নেওয়া ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আইএমএফ যে ঋণ দিয়েছে সেটা শোধ করা কঠিন নয়। ঋণের পরিমাণ দুই মাসের রেমিট্যান্সের সমান।'
মুস্তফা কামাল বলেন, 'আমরা বুঝতে পারিনি যুদ্ধ কতদিন থাকবে। শুরুতে যেভাবে শর্ট (বৈদেশিক মুদ্রার) পড়ছিল তাতে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমরা ভয় পেয়ে গেছি সেইদিন, যেদিন যুদ্ধ বেধে গেল। যে কারণে আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়া।'
মন্ত্রী বলেন, 'বর্তমান সরকার যখন যাত্রা শুরু করে, তখন মূল্যস্ফীতি ছিল ১২.৩০ শতাংশ। এরপর তার থেকে বাড়েনি। …বাজেটে মূল্যস্ফীতি যেভাবে ধরা হয়েছে, সেভাবে এগোচ্ছে।'
সরকারের কৃচ্ছ্রতা কতদিন চলবে, এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, 'আমেরিকাতে যখন একটা ব্যাংক ফেল করল, তখনই তারা কৃচ্ছ্রতার দিকে গেছে। এ বছর তাদের আরও তিনটা ব্যাংক ফেল করেছে। পশ্চিমা অর্থনীতি বিবেচনা করলে বাংলাদেশ এই সংকটময় সময়ে যা অর্জন করেছে, তা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো।'
সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের অগ্রগতি তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত তিন বছর ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি (লক্ষ্যমাত্রার) কাছাকাছি রয়েছে।
তিনি বলেন, 'মোট জিডিপির আকার বেড়েছে। বেড়েছে মাথাপিছু আয়। দারিদ্র্য ও অতিদারিদ্র্যের হার কমেছে।
'জিডিপির অনুপাতে বিনিয়োগ স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। কর-জিডিপি অনুপাতেও ইতিবাচক অগ্রগতি হচ্ছে। রেমিট্যান্স আয়ও বাড়ছে।'