পাইলট সংকট কাটিয়ে উঠতে বিমান বাংলাদেশ কেন হিমশিম খাচ্ছে
দীর্ঘ ছয় মাস বাছাই প্রক্রিয়ার পর এবছরের সেপ্টেম্বরে বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজের জন্য সাত পাইলটকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান। তাদের মাসিক ৯ লাখ টাকার আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা করযোগ্য। নিয়োগ হয়েছে চুক্তি-ভিত্তিক এবং এই প্যাকেজের মধ্যে চিকিৎসা, লাইসেন্স হারানোর বিমা কাভারেজসহ বিশ্বব্যাপী পাইলটরা সাধারণত যেসব সুবিধাদি পান– তা অন্তর্ভুক্ত নেই।
তবে প্রতিবেশী দেশের এয়ার ইন্ডিয়ার নিয়োগে ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয় পাইলটদের। যেমন বাংলাদেশ বিমানের নিয়োগকৃত একজন পাইলট অনলাইনে ইন্টারভিউ দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এয়ারলাইনটি থেকে চাকরির প্রস্তাব পান। কর পরিশোধের পর- মাসিক সাড়ে ১৪ হাজার ডলার বা প্রায় ১৬ লাখ টাকার আর্থিক প্যাকেজের প্রস্তাব তাকে দেয় এয়ার ইন্ডিয়া, যা বাংলাদেশ বিমানের প্রস্তাবিত সুবিধার প্রায় দ্বিগুণ। এয়ার ইন্ডিয়ার এই প্যাকেজে প্রয়োজনীয় সুবিধাদিসহ পাইলট পাবেন অতিরিক্ত আরও ৬০ হাজার রুপি বা প্রায় ৭৯ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ বিমান কেন পাইলটদের আকৃষ্ট করতে ও তাদের ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে – তাই যেন তুলে ধরেছে উভয় সংস্থার নিয়োগ প্রক্রিয়া ও আর্থিক সুবিধার উল্লেখযোগ্য এ পার্থক্য। বিশেষত যখন মহামারির পর বিশ্বব্যাপী বিমানচালকদের উচ্চ চাহিদা তৈরি হয়েছে।
নিয়মিত নিয়োগপ্রাপ্ত পাইলটরা বর্তমানে যা পাচ্ছেন, এমনকী তার চেয়েও ২৫ শতাংশ কম বাংলাদেশ বিমানের চুক্তিভিত্তিক বোয়িং-৭৩৭ চালকদের আর্থিক প্যাকেজ। এদিকে মহামারি পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের চাহিদা বেড়েছে, আর তা পুঁজি করে ব্যবসা বাড়াতে এবং পাইলটদের সংকট কাটাতে বৈশ্বিক এয়ারলাইন্সগুলো যখন পাইলটদের আর্থিক সুবিধা ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বাড়িয়েছে, তারমধ্যেই এটা ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি ব্যবস্থাপনা পরামর্শক সংস্থা- অলিভার ওয়েইম্যান, ২০৩২ সাল নাগাদ বিশ্বের এভিয়েশন শিল্পে প্রায় ৮০ হাজার বিমানচালকের ঘাটতি দেখা দেবে বলে প্রাক্কলন করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে বলেছে, '২০২২ সাল জুড়ে আকাশপথে ভ্রমণের চাহিদা পুনরুদ্ধার লাভ করে, তাই আমাদের এখনকার সর্বশেষ পূর্বাভাসে অনুমান করা হয়েছে যে, ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রায় সকল অঞ্চলে পাইলটের চাহিদা তাদের সরবরাহকে ছাড়িয়ে যাবে। আগামী এক দশকে এই পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে থাকবে।'
আন্তর্জাতিক রুটে ব্যবসা বিস্তারের উদ্দেশ্যে সবচেয়ে বেশি বা ৪৭০টি উড়োজাহাজের অর্ডার দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। সম্প্রতি সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৬০০ পাইলট নিয়োগ দিয়েছে, এ বছরের শেষপর্যন্ত ৯০০ পাইলট নিয়োগের পরিকল্পনা আছে তাদের।
একইভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পতাকাবাহী এমিরেটস বড় পরিসরে এক বৈশ্বিক নিয়োগ কার্যক্রমের পরিকল্পনা করছে। সৌদি আরব-ভিত্তিক স্টার্টআপ– রিয়াদ এয়ার আগামী তিন বছরে ৭০০ পাইলট নিয়োগ করতে চায়। এসব উদ্যোগই নেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাইলট সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে।
এয়ারবাসের ১০টি উড়োজাহাজ কিনে বাংলাদেশ বিমানও তাদের বহর সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে। অথচ দুর্বল নিয়োগ প্রক্রিয়ার কারণে তাদের বিদ্যমান উড়োজাহাজগুলোই অলস পড়ে থাকছে এবং পাইলট সংকট আরও তীব্র হচ্ছে। ফলে রাজস্ব হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইনটি।
বিমানের বিভিন্ন ধরনের উড়োজাহাজের পাইলট নিয়োগ কার্যক্রমে সীমিত সাড়া পাওয়া গে। তাদের চাকরির অফারগুলো যে বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রতিযোগীতামূলক নয়, এ ঘটনা তাই নির্দেশ করে।
যেমন এ বছরের মার্চে বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজের জন্য বাংলাদেশ বিমান যখন আটজন পাইলট নিয়োগের ঘোষণা দেয়– তখন মাত্র আটজন-ই আবেদনপত্র জমা দেন। ফলে প্রার্থী বাছাইয়ের কোনো সুযোগ ছিল না।
এই আট প্রার্থীর মধ্যে একজন পাইলট এখনও দরকারি নথিপত্র জমা দিতে পারেননি, তাই বাকি সাতজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিমানের কর্মকর্তারা।
সে তুলনায়, একই ধরনের উড়োজাহাজের জন্য দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি এয়ারলাইন ইউএস-বাংলার অন্তত ২৫ জন পাইলট রয়েছে। কিন্তু, আর্থিক সুবিধা কম হওয়ায়, বাংলাদেশ বিমানের হয়ে কাজ করার আগ্রহ নেই তাদের।
বোয়িং-৭৮৭ এর পাইলট নিয়োগের আরেকটি দরখাস্ত আহ্বানও বাংলাদেশ বিমানের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ত্রুটিগুলো তুলে ধরেছে।
মার্চে বোয়িং-৭৮৭ এর জন্য ১৪ জন পাইলট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ বিমান, কিন্তু তখন একটিও আবেদনপত্র জমা পড়েনি। এর অন্যতম কারণ হলো- বিমান চেয়েছিল টাইপ রেটেড পাইলট। নির্দিষ্ট ধরনের উড়োজাহাজ চালানোর মতো সনদপ্রাপ্ত পাইলটরাই হলেন টাইপ রেটেড পাইলট। অথচ বোয়িং-৭৮৭ থাকা দেশের একমাত্র এয়ারলাইন হলো বাংলাদেশ বিমান।
বাংলাদেশ বিমানের অভ্যন্তরীণরা জানান, পরে ৬ বিদেশি পাইলটকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু, আরও ভালো সুযোগ পাওয়ায়, ইতোমধ্যেই তাদের মধ্যে দুজন চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন।
টিবিএসের সাথে আলাপকালে কয়েকজন পাইলট বলেন যে, বিমানের বোয়িং-৭৩৭ ও বোয়িং-৭৭৭ দরখাস্ত আহ্বানে 'টাইপ রেটেড' নাকি 'নন-টাইপ রেটেড' পাইলট দরকার তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। অথচ দেশের এভিয়েশন বাজারে আর কারো কাছে বোয়িং-৭৮৭ না থাকলেও, বিমান এই উড়োজাহাজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে 'টাইপ রেটেড' পাইলট চেয়েছে।
পাইলটদের মতে, বিমান যদি 'নন-টাইপ রেটেড' পাইলট চাইতো, তাহলে অন্যান্য ধরনের বিমান পরিচালনায় অভিজ্ঞ পাইলটরা আকৃষ্ট হতেন, এরপর বাংলাদেশ বিমান তাদের বোয়িং-৭৮৭ চালনার প্রশিক্ষণ দিতে পারতো। চলমান পাইলট সংকটের মধ্যে বিশ্বের অনেক এয়ারলাইনই এই পন্থা অবলম্বন করছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে, তারা মতপ্রকাশ করেন যে, এ ধরনের দরখাস্তের আহ্বান সময়ের অপচয় বৈ আর কিছুই নয়, তাই শেষপর্যন্ত বিমানকে উচ্চ খরচে বিদেশি পাইলটদের নিয়োগ দিতে হয়েছে।
এছাড়া, ইউরোপের বাজারে পাইলটের উচ্চ চাহিদা ও আকর্ষনীয় আর্থিক সুবিধা থাকায়, বিমানে যোগ দেওয়া বিদেশি পাইলটদের সেখানে চাকরির সুযোগ খুঁজছেন।
এদিকে বাংলাদেশ বিমানের বর্তমান পাইলটরাও এয়ার ইন্ডিয়া ও রিয়াদ এয়ার থেকে চাকরির প্রস্তাব পাচ্ছেন। এ দুটি সংস্থাই ব্যাপক ভিত্তিতে নিয়োগ কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে জানান পাইলটরা।
পাইলট সংকট নিয়ে বিমানের এমডি যা বলেছেন
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম জানান, পাইলট সংকটই তারা সবচেয়ে বেশি অনুভব করছেন, এবং তার সমাধানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। 'মেজর এই ক্রাইসিসটা আমরা এবছরের মধ্যেই কাটিয়ে ওঠার আশা করছি' বলছিলেন তিনি।
'যেহেতু আমরা আমাদের নেটওয়ার্ক বাড়াতে চাইছি, এজন্য চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তার সাথে সামঞ্জস্য রাখছি। এটা আসলে নির্ভর করছে ফ্রিকোয়েন্সি (ফ্লাইট সংখ্যা) কতোটা বাড়ছে, কতজন পাইলট দরকার বা কী ধরনের পাইলট দরকার– তার ওপর। এগুলো একটি অন্যটির সাথে সম্পর্কিত। তাই আমরা যখন নেটওয়ার্ক বাড়াচ্ছি, তখন স্বাভাবিকভাবেই আরও বেশি পাইলটও দরকার হবে। তাছাড়া, বর্তমানেও পাইলট সংকট রয়েছে।'
এসময় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দেরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বর্তমানে এভিয়েশন খাতে সার্বিকভাবে পাইলটদের উচ্চ চাহিদা রয়েছে। কিন্তু, আমরা মানদণ্ড অনুসরণ করছি, এজন্য চাইলেই যে কাউকে নিতে পারি না। যথাযথ বিধিমালা ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, আমাদের স্ট্যান্ডার্ড রেটিং অনুযায়ী সবাইকে নিয়োগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে, তাড়াহুড়োর কোনো সুযোগ নেই। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী-ই আমরা (পাইলট) নিয়োগ দিচ্ছি।'
পাইলট সংকটে বিমান যে মূল্য দিচ্ছে
তীব্র পাইলট সংকটে থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দুইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে: প্রথমত, পাইলটদের অতিরিক্ত কাজ করা দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছে, এবং দ্বিতীয়ত, এয়ারলাইনটি তাদের উড়োজাহাজের বহর পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারছে না, এতে তাদের রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে।
বিমানের একাধিক পাইলট টিবিএসকে জানান, দায়িত্ব অনুযায়ী যতগুলো ফ্লাইট পরিচালনার কথা, ফ্লাইটের সংখ্যা বা ফ্রিকোয়েন্সি তা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অনেকসময় তাদের নির্ধারিত ছুটিও দেওয়া হচ্ছে না।
কাজের অতিরিক্ত চাপের কথা সম্প্রতি তার ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন বাংলাদেশ বিমানের একজন পাইলট। তিনি এই বিষয়টির আশু সুরাহার ওপর জোর দেন।
পোস্টে নিজের স্বাস্থ্যগত সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, 'যে ধরনের অনিশ্চিত কাজের পরিবেশের মধ্যে আমরা রয়েছি, তাতে আমার মনে হয়, আমাদের অনেক সহকর্মীই অসুস্থ হয়ে পড়বেন, নাহলে মারাই যাবেন। আমি শুধু বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি।'
তাছাড়া, বর্তমানে সর্ববৃহৎ ও সর্বাধুনিক থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিমান পাইলট সংকটের কারণে সব উড়োজাহাজের যথাযথ ব্যবহার করতে পারছে না।
যেমন বোয়িং-৭৮৭, ৭৭৭ ও ৭৩৭ - এর মতো ওয়াইড-বডির উড়োজাহাজ গড়ে ১৩ থেকে ১৬ ঘণ্টা পরিচালনা করা যায়। কিন্তু, গত জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানের দৈনিক এসব উড়োজাহাজ ব্যবহার সীমিত ছিল ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টায়। এয়ারলাইনটির তথ্যেই এ চিত্র দেখা যাচ্ছে।
উড়োজাহাজের ব্যবহার এয়ারলাইন্সগুলোর কার্যকারিতা মাপার গুরুত্বপূর্ণ সূচক, যা সরাসরি তাদের পরিচালন দক্ষতা ও মুনাফা যোগ্যতাকে তুলে ধরে।
২০০০ সাল থেকে ২৮টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে মাত্র ১০টি উড়োজাহাজ নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসা বাংলাদেশ বিমান গত এক দশকে তাদের বহরের আধুনিকায়ন করেছে। একইসময়ে, তাদের বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১টিতে। কিন্তু, পাইলট সংকটের কারণে বর্তমানে মাত্র ২১টি গন্তব্যে তারা যাত্রীসেবা দিতে পারছে।
আন্তর্জাতিক কিছু রুটে ভালো আয় করা সত্ত্বেও, পাইলট সংকটের কারণে বাংলাদেশ বিমান ফ্লাইটের সংখ্যা বা ফ্রিকোয়েন্সি বাড়াতে পারেনি বলে জানান এর কর্মকর্তারা।
পাইলট সংকটের বৈশ্বিক পরিস্থিতি
২০২২ সালের প্রথম থেকে শেষ প্রান্তিক পর্যন্ত এবং ২০২৩ সাল জুড়ে বৈশ্বিক যাত্রী সংখ্যায় পুনরুদ্ধার দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় পাইলটের উচ্চ চাহিদা দেখা দিয়েছে, কিন্তু তাদের সরবরাহে ঘাটতি থাকায় বিশ্বের অনেক এয়ারলাইনস তা পূরণের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায়, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, উত্তর আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে পাইলটদের ঘাটতি সবচেয়ে তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে।
পাইলট সংকটের সুবিধা নিয়ে বিশ্বব্যাপী পাইলটরা আরও ভালো আর্থিক সুবিধা ও কর্মপরিবেশ যে এয়ারলাইন দিচ্ছে, সেখানেই যোগ দিচ্ছেন।
পাইলট সংকট মেটাতে বিভিন্ন এয়ারলাইনকে নিজ দেশের এভিয়েশন বাজারের বাইরে, বা বিদেশ থেকে পাইলট নিয়োগের চেষ্টা করতে হচ্ছে। কিন্তু, এক্ষেত্রে তাদের প্রধান প্রতিযোগী হচ্ছে চীন, দেশটিতে দক্ষ বিদেশি পাইলটদের উচ্চ চাহিদা রয়েছে। রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন মতে, দেশটির এয়ারলাইন্সগুলো তাদের বার্ষিক ৩ লাখ ১৪ হাজার ডলার করমুক্ত বেতনের সুযোগ দিচ্ছে।
অ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়া প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স এর মহাপরিচালক অ্যান্ড্রু হার্ডম্যানকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানায়, 'অভিজ্ঞ পাইলটদের আকৃষ্ট করা বা তাদের চাকরিতে ধরে রাখার ব্যয় দিন দিন বেড়েই চলেছে। সবাই যেন এক নিলাম যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে।'
কানাডার এয়ার লাইন পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড্যান আডামুসের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, কানাডার পাইলটরা সাধারণত উচ্চ বেতনই পান, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মেইনলাইন ক্যারিয়ারগুলোয় বেতন এয়ার কানাডার চেয়েও বেশি।
তিনি বলেন, 'এয়ারলাইনগুলর জন্য দক্ষ পাইলট নিয়োগ দেওয়া নিশ্চিতভাবেই অনেক কঠিন হয়ে গেছে। এতে এয়ারলাইনগুলোকে তাদের বেতনভাতা বাড়াতে হচ্ছে। কারণ, ভালো বেতন ও সুবিধা যেখানে পাবেন, সেখানেই পাইলটরা আসছেন।'