খোলাবাজারে ডলারের দাম ১২৫ টাকা, তবুও পাওয়া যাচ্ছে না
ক্রলিং পেগ পদ্ধতি অনুসারে গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করেছে। এদিকে আন্তঃব্যাংক ডলারের দর বেড়ে যাওয়ার ফলে – খোলাবাজারেও ডলারের দাম বেড়েছে ৭/৮ টাকা।
বুধবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছিল ১১৬ থেকে ১১৭ টাকায়। বৃহস্পতিবার নগদ ডলারের দর এক লাফে আরও ৮ টাকা বেড়ে ১২৫ টাকায় উঠেছে। কিন্তু, দাম বাড়লেও ক্রেতারা চাহিদা অনুযায়ী ডলার পাচ্ছে না।
রিপন নামে এক ডলার-বিক্রেতা বলেন, খোলাবাজারে ডলার বিক্রির চেয়ে বিক্রেতাদের মনোযোগ বেশি কেনার প্রতি। সবাই চাচ্ছে গ্রাহকদের থেকে কম দামে ডলার কেনা যায় কিনা। তবে বিক্রির ক্ষেত্রে ১২৫ টাকার এর নিচে কেউ দিচ্ছে না।
তিনি মনে করেন, কয়েকদিন এমন ঘোলাটে অবস্থান যাবে। কারণ একদিনে ৭ টাকা ডলারের দাম বাড়ার কারণে সবাই এখন বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। এদিন ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের থেকে সর্বোচ্চ ১২২ টাকা দরে ডলার কিনছেন।
কবির আহম্মেদ নামে খোলাবাজারের আরেক বিক্রেতা বলেন, 'আমার কাছে বিক্রির জন্য কোনো ডলার নেই।'
কেউ যদি তার কাছে বিক্রি করে তাহলে ১২১ টাকা রেট দেবেন, কিনলেই বা রেট কত? জানতে চাইলে বলেন, 'ডলার নেই, রেট দেব কীভাবে?'
থাইল্যান্ড চিকিৎসার জন্য যাবেন মাহফুজুর রহমান মতিঝিল এসেছিলেন খুচরা ডলার কিনতে। তিনি বলেন, 'আগামী রোববার থাইল্যান্ড যাব। আজকে ৫০০ ডলার কিনতে এসেছি। কমপক্ষে ৬টি মানি এক্সচেঞ্জে ঘুরলাম কেউ ডলার বিক্রি করল না। এখানে এক্সিম ও অগ্রণী ব্যাংকে গেলাম, ভিসা পাসপোর্ট দেখালাম – তারপরও বলল সরাসরি ডলার দেওয়া যাবে না। পরে ইউসিবির এক পরিচিত ব্যাংকারকে ফোন দিলাম, বলল অ্যাকাউন্ট না থাকলে সহজে ডলার বিক্রি করতে চায় না ব্যাংক। এরপরও যেতে বলল কোনো ব্যবস্থা করা যায় কিনা দেখবে।'
তবে সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেসব শাখায় ডলার আছে তারা খুচরা ডলার বিক্রি করছে। তবে যে কেউ গেলেই ডলার পাবে না- নিজস্ব ও পরিচিত গ্রাহককেই শাখাগুলো ডলার দিচ্ছি। আজকে বেশিরভাগ ব্যাংক খুচরায় প্রতি মার্কিন ডলার বিক্রি করছে ১১৮ টাকায়।
খোলাবাজারের পাশাপাশি ব্যাংকের এলসি খোলার দরও বেড়েছে আড়াই থেকে তিন টাকা। বুধবার ১১৫ টাকায় এলসি করছিল এরকম ব্যাংক বৃহস্পতিবার ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা দর নিচ্ছে বলে জানা গেছে।