বিমানের ইঞ্জিন, ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাটছাড়ের প্রস্তাব
২০২৪–২৫ অর্থবছরের নতুন বাজেটে বিমানের ইঞ্জিন, ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ ও টার্বো-প্রপেলার আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ থেকে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) শূন্য শতাংশে অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি দেশের স্থানীয় বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।
টার্বো-জেট বা টার্বো-প্রপেলারের যন্ত্রাংশের আমদানিও ১৫ শতাংশ ভ্যাটছাড়ের আওতায় পড়বে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, 'বর্তমান বাস্তবতায় অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইন্সগুলো বিভিন্ন কারণে বিদেশি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়ছে। স্থানীয় বিমান সংস্থাগুলোর প্রবৃদ্ধিকে সহায়তার লক্ষ্যে এবং এ শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আমি আমদানি পর্যায়ে বিমানের ইঞ্জিন ও প্রপেলারের খুচরা যন্ত্রাংশের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব করছি।'
নতুন এ প্রস্তাব স্থানীয় এয়ারলাইন্সগুলোর বিদেশি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। দেশের এভিয়েশন বাজারের প্রায় ৭৫ শতাংশ বিদেশি বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রণে।
তবে স্থানীয় বিমানসংস্থাগুলোর পরিচালকেরা বলছেন, তারা কাস্টম শুল্ক ছাড়ের দাবি করেছেন যা গ্রাহক পর্যায়ে সরাসরি ভূমিকা রাখতে আরও বেশি জরুরি।
গত ২৬–২৭ বছরে জিএমজি এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা সংকটের মুখে তাদের বিমান উড্ডয়ন থেকে বিরত থেকেছিল।
বর্তমানে ৩টি বেসরকারি এয়ারলাইন্স — ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার, ও এয়ার অ্যাস্ট্রা — অপর্যাপ্ত নীতি সহায়তার কারণে বিদেশি প্রতিযোগীদের কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন বাজার দখলের সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) মহাসচিব ও নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'টার্বো-প্রপেলার ও টার্বো-জেটের যন্ত্রাংশের জন্য ভ্যাট অব্যাহতি থেকে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো উপকৃত হবে। ছোট বিমান এবং হেলিকপ্টার পরিচালনা করে, তারা বাকি ভ্যাটছাড়ের সুবিধা পাবে।'
রহমান উল্লেখ করেন, তারা বিমানের যন্ত্রাংশ এবং ইঞ্জিনের ওপর শুল্ক অব্যাহতির দাবি করেছেন যা এখনও পূরণ করা হয়নি।
'আমরা প্রতি বছর সর্বোচ্চ দুটি ইঞ্জিন আমদানি করি এবং সর্বনিম্ন তিনকোটি টাকার বিমানের যন্ত্রাংশ আমদানি করি। তাই, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যদি শুল্ক ছাড়ের বিষয়টি বিবেচনা করে, তাহলে টিকিটের দাম হ্রাসের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে এর সরাসরি সুবিধা দেওয়া যাবে,' তিনি বলেন।
'তবুও আমরা সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই এবং এ খাতের টিকে থাকার ক্ষেত্রে আরও প্রত্যাশা করি,' তিনি আরও বলেন।