আন্দোলন ও সহিংসতার মধ্যে বাংলাদেশের ঋণমান কমালো এসঅ্যান্ডপি
দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের বৈদেশিক ও স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ নেওয়ার মান (রেটিং) অবনমন করেছে আন্তর্জাতিক রেটিংস সংস্থা– এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। আগে বাংলাদেশের ঋণমান বিবি মাইনাস থাকলেও, আজ মঙ্গলবার তা কমিয়ে বি প্লাসে নামানো হয়েছে।
সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের ঋণমান স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে সংস্থাটি, এবং স্বল্পমেয়াদে তা 'বি' বলে নিশ্চিত করেছে।
মাঝারি মাপের মাথাপিছু আয়, এবং সে তুলনায় রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর নিম্ন সক্ষমতা ও উচ্চ সুদ ব্যয়ের কারণে– বাজেট ব্যয়ে সীমাবন্ধতা থাকায় বাংলাদেশকে 'বি প্লাস' রেটিং দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোও আরো বাধা সৃষ্টি করছে বলে জানিয়েছে এসঅ্যান্ডপি।
ঋণমান যাচাইকারী সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশের বহিস্থ তারল্য দুর্বল হচ্ছে, যার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ধারাবাহিক পতনের ঘটনায়।
এসঅ্যান্ডপির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে টাকাকে অবনমন হতে দেওয়া, এবং সংকুলানমূলক মুদ্রানীতির মতো ২০২৪ সালের মে মাসে কার্যকর করা সামষ্টিক অর্থনীতির নীতিগুলো – বাহ্যিক বাফার (রিজার্ভ) গঠনে সহায়তা করতে পারে, তবে এটি ধীরে ধীরে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। অপরদিকে সুদ ব্যয়ের উচ্চ হার এবং আগের চেয়ে কমার পরেও এখনও তুলনামূলক অনেক বড় বাজেট ঘাটতি – সরকারের ব্যয় পর্যালোচনার ক্ষেত্রে চাপ অব্যাহত রাখবে।
এসঅ্যান্ডপি বলেছে, বাংলাদেশের বহিস্থ সূচকগুলোর ওপর পরিলক্ষিত চাপ এবং বিশেষত বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ধারাবাহিক পতনকেই তুলে ধরেছে তাদের সাম্প্রতিক রেটিং।