ব্যাংকগুলোকে অফশোর ইউনিটে মূলধনের ৩০% স্থানান্তরের সুযোগ দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ব্যাংকগুলোর দেশীয় (ডমেস্টিক) ইউনিট থেকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে ফান্ড ট্রান্সফারের (তহবিল স্থানান্তর) ক্ষেত্রে যে বিধিনিষেধ ছিল, তা তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এখন ব্যাংকগুলো আগের মতোই দেশীয় ইউনিট থেকে অফশোর ইউনিটে রেগুলেটরি মূলধনের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ (ট্রান্সফার) করতে পারবে। এই সুবিধাটি গত ১৬ জানুয়ারি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার ইস্যু করে সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর পাঠিয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং অপারেশনের (ওবিও) মাধ্যমে ডমেস্টিক ব্যাংকিং ইউনিট (ডিবিইউ) তহবিলের স্থানান্তর ৩০ শতাংশের সীমা অতিক্রম করে তবে তা চলতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বেরর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, "জানুয়ারিতে আমাদের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে ফান্ড ট্রান্সফার বন্ধ করে দেওয়া হয় এই ভেবে যে, আমাদের বিদেশ থেকে ইনফ্লো বাড়বে। তবে গত কয়েকমাসে তেমনটা বাড়েনি।"
"এখন আমাদের অনেক প্রতিষ্ঠানের বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে পেমেন্ট বকেয়া রয়ে গেছে। এগুলো দীর্ঘদিন ওভারডিউ হলে আমাদের দেশের ইমেজ নষ্ট হবে, একই সঙ্গে নতুন করে ফান্ড পেতেও কষ্ট হবে। তাই তাদের বকেয়া পেমেন্টগুলো পরিশোধ করতে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে," যোগ করেন তিনি।
এই কর্মকর্তা আরও জানান, "বিদেশি বকেয়া পেমেন্ট ব্যাংকের ডমেস্টিক ইউনিট থেকে দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ ফান্ডগুলো নিয়েছে অফশোর ইউনিট।"
অফশোর ব্যাংকিং হলো ব্যাংকের অভ্যন্তরে পৃথক এক ব্যাংকিং ব্যবস্থা। বিদেশি কোম্পানিকে ঋণ প্রদান এবং বিদেশি উৎস থেকে আমানত সংগ্রহ করার সুযোগ রয়েছে অফশোর ব্যাংকিংয়ে। এখানে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব হয়।
বাংলাদেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর কোনো নিয়ম-নীতিমালা অফশোর ব্যাংকিংয়ে প্রয়োগ হয় না। শুধু মুনাফা ও লোকসানের হিসাব যোগ হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের ৩৫টি ব্যাংক অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২০১৯ সাল পর্যন্ত ব্যাংকগুলো অফশোর ইউনিটে রেগুলেটরি ক্যাপিটেলের ২০ শতাংশ পর্যন্ত মূলধন যোগান দিতে পারতো। কোভিডের সময়ে এটি বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়।