জুন নাগাদ মোট ঋণের ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে খেলাপি: বাংলাদেশ ব্যাংক
![](https://947631.windlasstrade-hk.tech/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/10/npl.jpg)
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার আমলে ব্যাংকখাতের প্রধান প্রধান সুচকের দুর্বল চিত্রগুলো বেড়িয়ে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুদ্রানীতি বিবৃতিতে (এমপিএস) বলা হয়েছে, আগামী জুনের মধ্যে ব্যাংকখাতের খেলাপি ঋণ বেড়ে ৩০ শতাংশ হতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২০২৪ এর সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকখাতের মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকায়, যা দেশের মোট ১৬ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকা ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ।
মুদ্রনীতিতে রিপোর্টে বলা হয়, খেলাপি ঋণ বেড়ে মোট ঋণের ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা ব্যাংকিং শিল্পের জন্য গুরুতর উদ্বেগের।
মুদ্রানীতি রিপোর্টে বলা হয়, খেলাপি ঋণ বেড়ে মোট ঋণের ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা ব্যাংকিং শিল্পের জন্য গুরুতর উদ্বেগের।
আর্থিকখাতের প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়মতান্ত্রিক দুর্বলতা, নিয়ন্ত্রণের ঘাটতি এবং অর্থ পাচার ও অবৈধভাবে পুঁজি বিদেশে পাচারের মতো দুর্নীতি, অনিয়মের মতো কারণ এর জন্য দায়ী।
বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের এমপিএসে বলেছে, এটা উল্লেখ করা দরকার যে বেশকিছু ব্যাংক বর্তমানে ব্যাপক তারল্য সংকটের মধ্যে রয়েছে। নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) বা মন্দ ঋণ, আমানতের ধীর প্রবৃদ্ধি ও দুর্বল ঋণ আদায় কার্যক্রমের কারণে এসব ব্যাংকের পরিস্থিতি আরও বাজে রূপ নিয়েছে। তাদের তারল্য বা নগদ অর্থের চাহিদাকে স্থিতিশীল করতে, বাংলাদেশ ব্যাংক সংকট-কবলিত ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির আওতায়, আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার থেকে ধার নিতে দিচ্ছে।
এরপরেও তাদের তহবিল চাহিদা আরও বাড়ায়—এরমধ্যে কিছু ব্যাংককে (টাকা ছাপিয়ে) সাময়িক তারল্য সহায়তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও বাড়তি এই তারল্য (ছাপানো টাকা) ব্যাংকখাত থেকে উঠিয়ে নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিল ইস্যু করার মতো কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক ভারসাম্যহীনতা তৈরি না হয়।
খেলাপি ঋণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক— ঋণ শ্রেণিকরণ, প্রভিশন সংরক্ষণ ও ঋণ আদায়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সর্বোত্তম চর্চাগুলো অনুসারে একটি বিস্তৃত গাইডলাইন অনুসরণ করছে।
ব্যাংকখাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এ ধরনের গাইডলাইন মেনে চলা নিশ্চিত করতে কঠোর তদারকি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ ব্যাংক।
খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি ব্যবহার করছে।
ব্যাংকখাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকিকে শক্তিশালী করা এবং কার্যকরী সংস্কারকে বাস্তবায়ন— স্থিতিশীলতা, টেকসইতা নিশ্চিত করে এই খাতের ওপর জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারের সহায়ক হবে বলে এমপিএসে উল্লেখ করা হয়েছে।