রমজান উপলক্ষে মার্চে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৫ শতাংশ
কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক ধারায় ফিরতে শুরু করার পর থেকে চলতি অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কমতে শুরু করেছে। তবে রমজানকে সামনে রেখে গত মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ২৫ শতাংশ, যা গত আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১.৪৯ বিলিয়ন ডলার। এক মাসের ব্যবধানে মার্চে তারা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১.৮৬ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৪.৪৫ শতাংশ। যদিও আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে গত ২১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স ছিল।
তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় মার্চে রেমিট্যান্স কমেছে ২.৬৬ শতাংশ। ওই সময়ে কোভিডের প্রভাব বেশি থাকায় প্রবাসীরা অধিক পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলেন, রমজানকে সমনে রেখে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। এছাড়া রেমিট্যান্সে সরকারের বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা এবং নতুন করে অনেকে বিদেশে যাওয়ায় এর প্রবাহ বেড়েছে। সামনে আরও বাড়বে।
কোভিড প্রভাব কমতে থাকায় গত বছরের জুন থেকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সও কমছিল। টানা ছয় মাস কমার পর ডিসেম্বরে এসে রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করে।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য সরকার রেমিট্যান্সের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ২৬ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের এ সময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রেমিট্যান্স দেশে আনতে প্রণোদনা সুবিধা বাড়িয়েছে সরকার। প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠালে এখন থেকে আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা পাবেন।
এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-এর (সিপিডি) ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'গত কয়েক মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কমেছিল, কারণ কোভিডকালে প্রবাসীরা জমানো টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। রমজান সমনে রেখে মার্চে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। সমনে আরও দুটি ঈদ রয়েছে। এ প্রবাহ আরও বাড়বে।'
তিনি আরও বলেন, 'সরকার ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্সে প্রণোদানা বাড়িয়ে দিয়েছে। এটাও রেমিট্যান্স বাড়ার অন্যতম কারণ। এছাড়া গত কয়েক মাসে অনেকে নতুন করে যারা বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের আয়ও দেশে পাঠাচ্ছে। এ কারণেও রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে।'