ভারতের গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা
হোক সে বাড়িতে বা রাস্তার পাশের ছোট্ট রেস্তোরাঁয়– সকালের নাস্তায় অনেকের জন্যই দিনের প্রথম খাদ্য রুটি বা পাউরুটি। দুধচায়ের সাথে বিসকিট হোক বা মধ্য দুপুরের নাস্তায় উনুনে সেঁকা রুটি– গম থেকে তৈরি নানান খাদ্যপণ্য রয়েছে ভোক্তাদের পছন্দ তালিকায় শীর্ষে। কিন্তু, সে সুদিন মনে হয় এবার শিকেয় উঠবে, কারণ গমের বিশ্ববাজার দিনকে দিন আরও বিষিয়ে উঠছে।
শুক্রবার (১৩ মে) গম রপ্তানিতে ভারতের আকস্মিক নিষেধাজ্ঞার পর প্রধান ব্যবসায়িক খাত এবং প্রায় সকল ভোক্তাপণ্য খাত এখন খুব অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে।
বলাইবাহুল্য, সরকারি কর্মকর্তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে দেওয়া আরেকদফা আশ্বাসের বাণী সত্ত্বেও সমাজের সবচেয়ে দরিদ্ররা এবারও সবচেয়ে বেশি দুর্দশার শিকার হবে।
গত শুক্রবার ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। চলতি অর্থবছরের ১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ যখন ২৭ লাখ ১৫ হাজার টন গম রপ্তানি করেছে তখনই এ নিষেধাজ্ঞা দিল বৃহৎ প্রতিবেশীটি।
খাদ্যপণ্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ পরিমাণ আমদানির সত্ত্বেও চলতি বছরের চাহিদা পূরণে আরও ৩০ লাখ টনের ঘাটতি রয়েছে।
অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতোই রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার পর পরই দেশের বাজারেও গমের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
শনিবার পাইকারি বাজারে গমের দাম মণপ্রতি বেড়েছে ১৫০ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিতিশীল থাকলে দাম আরও বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মাৎ নাজমানারা খানুম বলেছেন, ভারতের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে আমদানির জন্য ইতোমধ্যে চুক্তিবদ্ধ তিন লাখ মেট্রিক টন গমের চালানে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
বার্তাসংস্থা ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে সচিব বলেন, এরমধ্যেই এর তৃতীয়াংশ বা এক লাখ মেট্রিক টন বাংলাদেশের জন্য একটি জাহাজবোঝাই করা হয়েছে। স্বল্পমেয়াদে ভারতের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত গম ইতোমধ্যেই আমদানি করা হয়েছে অথবা পাইপলাইনে রয়েছে।
তিনি আরও আশ্বস্ত করে বলেছেন, এই মুহূর্তে দেশের গমের মজুদ আগস্ট মাস পর্যন্ত টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট এবং এর আগে কোনও গম আমদানির প্রয়োজন হবে না।
ভারতীয় গম রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত তথ্যমতে, সরকার টু সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে ভারত থেকে গম আমদানি করার সুযোগ এখনও থাকবে বলেও উল্লেখ করেন নাজমানারা খানুম।
যদিও এই আশ্বাস গমের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমাতে পারেনি।
খাদ্য সচিব আরও বলেছেন, বাংলাদেশ গম আমদানির জন্য বুলগেরিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে এবং অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউক্রেন ও রাশিয়াসহ অন্যান্য রপ্তানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
কানাডা, আমেরিকা ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশ থেকে এখনও গম আমদানির সুযোগ থাকলেও, এসব গম সাধারণত চানাচুর, পাস্তা, বার্গার, পিৎজা, কেকসহ উচ্চমূল্যের খাদ্যপণ্যে ব্যবহার হয়।
এসব পদকে খাদ্যের মূল উৎস হিসেবে ধরা হয় না, অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানি করা গম দিয়ে সাধারণত নানান রকম রুটি ও বিসকিট তৈরি করা হয়- যা সর্বসাধারণের চাহিদা মেটায়।
বাংলাদেশ অটো বিসকিট অ্যান্ড ব্রেড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেছেন, ভারতের গমে রুটি-পরোটা, পাউরুটি, সাধারণ বিস্কুটসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য উৎপাদন হয়, যা নিম্ন-আয়ের মানুষের খাবার। তাই গমের দাম বৃদ্ধি সরাসরি দেশের সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত শ্রেণিপেশার মানুষকে প্রভাবিত করবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগেও ৩২৫-৩৫০ গ্রাম ওজনের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাউরুটির প্যাকেটের দাম ছিল ৩৫ টাকা, যা এখন কিনতে হচ্ছে ৪০ টাকায়।
ব্র্যান্ডভেদে নুডলসের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি, এরমধ্যেই বাড়ছে বিস্কুটের দাম।
ঢাকার রেস্তোরাঁগুলোয় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, পরোটার মতো মৌলিক পণ্যের দাম এরমধ্যেই দ্বিগুণ হয়েছে, মেনু থেকে উধাও হয়েছে পাঁচ টাকায় পরোটা।
দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজারের জায়ান্ট মেঘনা গ্রুপের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার তাসলিম শাহরিয়ার টিবিএসকে বলেন, এই অবস্থায় মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হয়তো পরিবর্তন হবে। এখন স্ল্যাকস- এর বদলে বেশি বেশি করে ফলমূল খাওয়া শুরু করবে। দেশে চালের ভাল উৎপাদন হচ্ছে, তাই এটিকে বিকল্প হিসেবে দেখা হতে পারে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে গমের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৭৫ লাখ মেট্রিক টন, যার মধ্যে বছরে গড়ে মাত্র ১০ লাখ মেট্রিক টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়।
অবশিষ্ট চাহিদা ভারত, রাশিয়া, ইউক্রেন, কানাডা, আর্জেন্টিনা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করে মেটানো হয়, যার সিংহভাগই বেসরকারি খাতে আমদানি করা হয়।
খাদ্যসচিব জানান, সরকার মাত্র পাঁচ লাখ টন আমদানি করে, বাকি ৬০ লাখ মেট্রিক টন করে বেসরকারি খাত।
বাংলাদেশ– বিশ্বের দ্বিতীয় দ্রুত বর্ধনশীল গম আমদানিকারক– প্রতি বছর ৬৫ লাখ টন গমের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে প্রায় ৩৬ লাখ টন গম সংগ্রহ করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে পরিমাণ এবং মূল্য উভয় ক্ষেত্রেই ৫৪ শতাংশের বেশি অংশ নিয়ে ভারতের গম রপ্তানির শীর্ষ গন্তব্যে পরিণত হয় বাংলাদেশ। চাহিদার বাকিটা আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে।
সে তুলনায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে গম রপ্তানির শীর্ষ পাঁচটি দেশ ছিল: ইউক্রেন, রাশিয়া, কানাডা, আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাষ্ট্র।
সরবরাহ সংকটের আভাস
গম রপ্তানিতে ভারতের আকস্মিক নিষেধাজ্ঞা প্রধান প্রধান খাদ্যপণ্যের ভবিষ্যত সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। কারণ রাশিয়ার যুদ্ধ ইউক্রেন থেকে সরবরাহ বন্ধ করার পর থেকে বাংলাদেশের গমের অর্ধেক প্রয়োজন প্রতিবেশী দেশটি থেকে পাওয়া যাচ্ছিল।
মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলেছে, খরার কারণে ফলন কমে যাওয়ায় নিজস্ব খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ায় ভারত শুক্রবার থেকে গমের নতুন চালান বন্ধ করে দিয়েছে।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে,ভারত সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে এবং অন্যান্য দেশের খাদ্য নিরাপত্তার প্রয়োজন ও তাদের সরকারের অনুরোধের ভিত্তিতে গম রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ১৩ মে এর আগে জারি করা অপরিবর্তনীয় এলসি গৃহীত হবে এবং বাংলাদেশ চাইলে জিটুজি চুক্তির ভিত্তিতে কিনতে পারবে।
তবে ভারতের এ সিদ্ধান্ত বিশ্বে খাদ্য সংরক্ষণবাদের সাম্প্রতিকতম ঘটনা। ঘোষণার মাত্র একদিন আগেই দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিশ্বের কয়েকটি দেশে গমের সম্ভাব্য বাজার পর্যবেক্ষণে প্রতিনিধি দল পাঠানোর পরিকল্পনা জানিয়েছিল। পরবর্তী সিদ্ধান্ত ছিল সেখান থেকে সম্পূর্ণ দিক বদলের ঘটনা।
আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে ২০২২-২৩ সালের জন্য ৪০ লাখ টন গম রপ্তানির চুক্তি করেছে। তবে ভারতের খাদ্য মন্ত্রণালয় গত ৪ মে জানায়, চলতি বছরের পুরো সময়ে তাদের মোট ১ কোটি টন রপ্তানির রেকর্ড লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
চীনের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী ভারত। যুদ্ধের কারণে কৃষ্ণসাগর অঞ্চলের 'রুটির ঝুড়ি' খ্যাত ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে গম রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেলে ভারত বিকল্প সরবরাহের একটি উৎস হয়ে ওঠে।
ফেব্রুয়ারির শেষদিক থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের কারণে সরবরাহ কমানোর আগে বিশ্বের এক- চতুর্থাংশ গমের চালান দিত রাশিয়া ও ইউক্রেন।
কিন্তু মার্চ মাসে প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়েছে ভারত। এতে গম ফসলের ক্ষতি নিয়ে সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে গণমাধ্যমে অনেক সংবাদ প্রকাশিত হয়, যেখানে ভারতের নিজস্ব খাদ্য নিরাপত্তার দিকটি আলোচনায় আসে। সে কারণেই এ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ অবশ্য যুদ্ধের আগে থেকেই ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ভারতীয় গমের ওপর বেশি নির্ভর করতে শুরু করেছিল।
সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশকে মিশর এবং তুরস্কের মতো শীর্ষ ক্রেতা দেশের সাথে প্রতিযোগিতায় ফেলবে, যারা সম্প্রতি ভারতকে তাদের গম ক্রয়ের নতুন উৎস হিসাবে বেছে নিচ্ছে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ নিত্যপণ্য সরবরাহকারী সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেছেন, "আমাদের সোর্সিং স্পেস কমে যাচ্ছে।"
"এর মানে হল বিশ্বব্যাপী সরবরাহ কমছে। এখন গম কিনতে বেশি খরচ করতে হচ্ছে। তবে সীমিত এ সরবরাহ চাহিদা পূরণ করবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।"
বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গমের বাড়তি মূল্য ইতিমধ্যে অনেক পণ্যের দামকে প্রভাবিত করেছে। তবে ভারত রপ্তানি নিষিদ্ধ করায় এখন দাম কতটা বাড়বে তা বলা কঠিন।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ গম আমদানিকারক দেশ।
২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ অর্ধেকেরও বেশি গম রাশিয়া, ইউক্রেন এবং ভারত থেকে আমদানি করেছে, এই সবকটি বিকল্প এখন আর নেই।
এসময় কানাডা থেকে ২৩%, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪% এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ১১% আমদানি করেছে।
গমের একটি বৈশ্বিক সরবরাহকারী দেশ হিসাবে ভারত- বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৬৫ লাখ ৯০ হাজার টন গম রপ্তানি করে। বাংলাদেশ একাই এ রপ্তানির ৫৩% বা ৩৪ লাখ ৯০ হাজার টন আমদানি করেছে।
বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক রেদওয়ানুর রহমান বলেন, একটি উৎস বন্ধ হওয়া মানে সরবরাহও কমে যাওয়া। সাধারণত যে জিনিস আর সহজলভ্য থাকে না, স্বাভাবিকভাবেই তার দাম বাড়তে থাকে।
লোভ নাকি প্রয়োজনে?
ভারতের নিষেধাজ্ঞা সবেমাত্র ঘোষণা করা হলেও এরমধ্যেই স্থানীয় বাজারে গমের দাম বেড়েছে।
ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে শনিবার ভারতীয় প্রতিমান জাতের ৩৭.৩২ কেজি গম বিক্রি হয়েছে ১,৫৫০ টাকায় । বৃহস্পতিবার এর দাম ছিল ১,৪০০ টাকা।
বৃহষ্পতিবার বাজারে কানাডার গম বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৯৫০ টাকায়। প্রতিকুইন্টাল (১০০ কেজি) এখন বিক্রি হচ্ছে ২,১০০ টাকায়।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর আগে বাজারে ভারতীয় ও ইউক্রেনের গমের দাম ছিল প্রতিকুইন্টাল মাত্র ১,০৫০ টাকা এবং কানাডার গম ছিল ১,৫০০ টাকা। সেই হিসেবে, গত আড়াই মাসের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে গমের দাম ৫০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
খাতুনগঞ্জের গম ব্যবসায়ী মেসার্স আর এম স্টোরের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই বাজারে গমের দাম বেড়ে চলেছে। গত আড়াই মাসে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম ৩০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
গম আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী বলেন, "ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলা শুরুর পর থেকে আমরা ভারত থেকে গম আমদানি করে দেশের চাহিদা পূরণ করে আসছি। কিন্তু গত শুক্রবার ভারত সে গম রপ্তানিতেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।"