প্লাস্টিক শিল্পের ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার, দূষণ বাড়ার শঙ্কা পরিবেশবাদীদের
পরিবেশের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনেকবার নিরুৎসাহিত করেছে সরকার। তবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সব ধরনের পলিথিন ও প্ল্যাস্টিক ব্যাগের ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
উভেন প্লাস্টিক ব্যাগসহ মোড়কজাত করার পলিথিনও রয়েছে শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাবে। স্থানীয় উৎপাদক পর্যায়ে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং কর বোঝা কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে বাজেট বক্তৃতায় জানান অর্থমন্ত্রী।
এদিকে পরিবেশবাদীরা এ প্রস্তাবের নিন্দা করে বলেছেন, এতে পরিবেশের জন্য প্রচণ্ড ক্ষতিকর একবার ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হয় (সিঙ্গেল ইউজ) এমন প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়বে।
এনভায়রোমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের নির্বাহী পরিচাল্ক সিদ্দিকা সুলতানা বলেন, 'প্রস্তাবটি গৃহীত হলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহারকে উৎসাহিত করবে। তাতে আমাদের পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বাড়বে।'
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনের কথা উল্লেখ করে সিদ্দিকা জানান, সেখানে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫' অনুসারে, সব ধরনের পলিব্যাগ অথবা পলিথিন বা পলিপ্রোপেলিন থেকে প্রস্তুতকৃত পণ্য নিষিদ্ধ। তবে এই আইনে রাখা একটি বিধানে কিছু কাজে এগুলি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব ধরনের পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগের ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পরিবেশ রক্ষায় পাটের তৈরি ব্যাগের ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে এই শুল্কারোপের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।