বেশিরভাগ ব্যাংকই ৯৩ টাকার এলসি রেট রাখতে পারছে না
বাংলাদেশ ব্যাংকের মৌখিক নির্দেশনা অনুযায়ী পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এলসি সেটেলমেন্ট রেট ৯৩ টাকার বেশি রাখতে পারবে না ব্যাংকগুলো। তাই গতকাল বুধবার অফিশিয়ালি ব্যাংকগুলো এলসি খোলার ক্ষেত্রে এই রেটই নিচ্ছে বলে জানিয়েছে।
তবে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যাংকগুলো ৯৩ টাকা রেটে ডলার সংগ্রহ করতে পারছে না। এই কারণে এলসি সেটেলমেন্টের ক্ষেত্রেও তাদের বেশি টাকা দর দিতে হচ্ছে।
বেসরকারি একটি ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী এক কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, 'এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো থেকে আমাদের কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯৫ টাকার বেশি রেটে ডলার সংগ্রহ করতে হচ্ছে। আজ (বুধবার) এক রপ্তানিকারককে ৯৫.৫০ টাকা রেট দিয়েও ডলার নগদায়ন করাতে পারিনি। এসব কারণে এলসি খোলার ক্ষেত্রেও আমাদের বেশি দর নিতে হচ্ছে।'
এর আগে, গত মঙ্গলবার পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এলসি সেটেলমেন্ট রেট ৯৩ টাকা রাখার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার একাধিক ব্যাংক কিছুটা বেশি রেটে এলসি খোলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন নির্দেশ দিয়েছিল।
গত কয়েকদিন আগে দেশের সব ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের এক জুম মিটিংয়ে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোকে ৯৩ টাকার বেশি রেট না দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে সভার এই সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ ব্যাংকই মানছে না।
এদিকে, গতকাল বুধবার ৯২.৮০ টাকা রেটে ৬৪ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগের দিন মঙ্গলবার ৩০ পয়সা বেড়ে এই রেটে দাঁড়ায় ডলারের দাম। সোমবার বিক্রি হয়েছিল ৯২.৫০ টাকা রেটে।
ক্রমাগত ডলার বিক্রি করায় টান লেগেছে রিজার্ভে। মঙ্গলবার রিজার্ভ ছিল ৪১.৪৪ বিলিয়ন ডলার। গত আগস্টে এই রিজার্ভ ছিল ৪৮.০৬ বিলিয়ন ডলারে।
অন্যদিকে, গত তিন দিন ধরে কল মানি রেট সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে। গতকাল বুধবার ৫.০২% রেটে ব্যাংকগুলো নিজেদের মধ্যে টাকা ধার করেছে। সোমবার ও মঙ্গলবারও একই রেটে লেনদেন হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৬ জুন এর চেয়ে বেশি ৫.০৩% সুদে টাকা ধার নিয়েছিল ব্যাংকগুলো।
সাধারণত, এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে টাকা ধারের বিপরীতে যে হারে সুদ পরিশোধ করে, সেটিকে কল মানি রেট বলে।