এশিয়া-প্যাসিফিক দেশগুলোকে ওমিক্রনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান ডব্লিউএইচও-র
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) কর্মকর্তারা বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিক দেশগুলোর উচিত তাদের স্বাস্থ্যসেবার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং ওমিক্রনের আসন্ন প্রভাবের জন্য জনগণকে সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া।
গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম সনাক্ত হয় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। ডাব্লুএইচও দ্বারা 'ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন হিসেবে অভিহিত করা হয় ওমিক্রনকে। তবে, এই ভ্যারিয়েন্টটি ঠিক কতোটা সংক্রামক তা নির্ধারণের জন্য বর্তমানে তথ্য সংগ্রহ করছেন বিজ্ঞানীরা।
অন্তত ২৪টি দেশে এ পর্যন্ত ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং ভারতের পর চলতি সপ্তাহে এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট। অনেক দেশের সরকার ইতোমধ্যে ভ্রমণে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে।
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ডব্লিউএইচও আঞ্চলিক পরিচালক তাকেশি কাসাই একটি ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, "সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে আপাতত ওমিক্রণের বিস্তার রোধ করা গেলেও প্রতিটি দেশকে নতুন ঝুঁকির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।"
"মানুষের কেবল সীমান্ত ব্যবস্থার উপর নির্ভর করা উচিত নয়। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য থেকে বোঝা যায় যে আমাদের চলমান পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে না," বলেন কাসাই।
কাসাই বলেন, দেশগুলোকে অবশ্যই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সময়কার পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিতে হবে। পাশাপাশি, মাস্ক পড়া ও সামাজিক দূরত্বের মতো নিয়ম বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, শুক্রবার ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের রিপোর্ট করে অস্ট্রেলিয়া। এর একদিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি রাজ্যে স্থানীয়ভাবে ধরা পড়ে ওমিক্রন।
- সূত্র- রয়টার্স