করোনার চিকিৎসায় রেমডিসিভিরের ‘অকার্যকারিতা’ সত্ত্বেও অনুমোদন দিল এফডিএ
করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় আলোচিত ঔষধ রেমডিসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষদ প্রশাসন বিভাগ (এফডিএ)। তবে এর কয়েকদিন আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক বড় পরিসরে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই ঔষধটির তেমন কার্যকারিতা নেই।
এফডিএ জানিয়েছে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে– ভেকলুরি (রেমডিসিভির ওষুধের ব্র্যান্ড নাম) গ্রহণের মাধ্যমে করোনা থেকে দ্রুত মুক্তি মেলে।
তারা বলেছে, রেমডিসিভির কোভিড-১৯ এর প্রথম কোনো চিকিৎসা, যা এফডিএর অনুমোদন পেল।
এফডিএ জানিয়েছে, তিনটি ট্রায়ালের ওপর ভিত্তি করে তারা রেমডিসিভিরের অনুমোদন দিয়েছেন। এই ট্রায়ালে এক হাজার ৬২ জন রোগী অংশ নিয়েছিলেন। গবেষণাটি পরিচালনা করেছে ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ। এতে তারা দেখতে পেয়েছেন, রেমডিসিভির প্রয়োগ করা হলে করোনা রোগীর হাসপাতালে থাকার মেয়াদ ১০ থেকে ১৫ দিন কমে যায়।
এফডিএ'র গবেষকরা জানান, একটি কার্যকর করোনার ভ্যাকসিন বাজারে এলেও, বর্ণভেদে এটি সবার ক্ষেত্রে কার্যকর নাও হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তারা কাজ করছে বলেও জানানো হয়। তবে, ডিসেম্বরের মধ্যেই ভ্যাকসিন বাজারে আনতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে এফডিএ।
গত সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রেমডিসিভির নিয়ে নিজেদের গবেষণা প্রতিবেদনের ফল তুলে ধরে বিপরীত মত দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, করোনার চিকিৎসায় রেমডিসিভিরের কার্যকারিতা নেই বললেই চলে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণার ওই ট্রায়ালে বিশ্বের ৩০টি দেশের ১১ হাজার ২২৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক করোনা রোগীর ওপর রেমডিসিভির, হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এবং এইচআইভি প্রতিরোধের ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। ট্রায়ালে দেখা যায়, রেমডেসিভির ওষুধটি ব্যবহারের পর রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি কমেনি।