করোনায় ইতালিতে একদিনে সর্বোচ্চ ৪৯ জনের মৃত্যু
আনুষ্ঠানিকভাবে মৃতের সংখ্যায় এখন চীনের পরের স্থান ইতালির। দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বিগত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৯ জন রোগী মারা গেছেন বলে জানান। ফলে মৃতের সংখ্যা উন্নীত হলো ১৯৭ জনে।
ইউরোপের ভেতর সবচেয়ে কড়া সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া স্বত্বেও ইতালি ভাইরাসটির বিস্তার রোধে ব্যর্থ হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে ইতালিতে প্রথম করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তখন থেকে করোনার প্রাদুর্ভাবে আক্রান্ত অনেক নগরকে অন্যান্য স্থান থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার পরেও ইতালিতে শুক্রবার নাগাদ ৪ হাজার ৬০০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে এখন মোট ১ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এদের মাঝে মারা গেছেন ৩ হাজার রোগী, সিংহভাগ মৃত্যু হয়েছে চীনে। তবে এখন চীনের বাইরেই করোনা বিস্তার সকল দেশের জন্য ব্যাপক উদ্বেগজনক পরিস্থিতির জন্ম দিচ্ছে।
এই অবস্থায় হু মহাপরিচালক টেড্রোস আঢানম ঘেব্রেইসুস ভাইরাসটির বিস্তারকে 'ব্যাপক উদ্বেগজনক' আখ্যায়িত করে সকল দেশকে ভাইরাসটির বিস্তাররোধকে 'সর্বোচ্চ গুরুত্ব' দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ইতালির পরিস্থিতি সত্যিই বিপজ্জনক অবস্থায় রূপ নিচ্ছে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউড জানায়, এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের গড় বয়স ছিল ৮১ বছর। প্রায় সকলেই আগে থেকে বার্ধক্যজনিত কোনো রোগে ভুগছিলেন। আর মৃতদের মাঝে শতকরা ৭২ জনই হলেন পুরুষ।
সেদেশের সরকারি তথ্য দেখা যাচ্ছে আক্রান্তদের মাঝে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ মারা গেছেন, এটা করোনা আক্রান্ত অন্যান্য দেশের তুলনায় বিশ্বে সর্বোচ্চ মৃত্যুহার।