২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে বেরিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প ডব্লিউএইচও-র বিরুদ্ধে মহামারি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন।
ডব্লিউএইচও মঙ্গলবার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো শীর্ষ দাতা দেশের এই সিদ্ধান্তে সংস্থাটি দুঃখিত।
১৯৪৮ সালের মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ প্রস্তাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রকে ডব্লিউএইচও থেকে বের হতে এক বছরের নোটিশ দিতে হবে এবং তাদের বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করতে হবে।
ডব্লিউএইচও-র বাজেটের প্রায় ১৮ শতাংশ অর্থায়ন যুক্তরাষ্ট্রের। ২০২৪-২৫ সালের জন্য সংস্থার দুই বছরের বাজেট ছিল ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সংস্থার বকেয়া চাঁদার পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়।
জাতিসংঘের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক জানান, 'যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ডব্লিউএইচও ত্যাগের চিঠি আমরা পেয়েছি। এটি ২০২৫ সালের ২২ জানুয়ারি তারিখে লেখা। এটি ২০২৬ সালের ২২ জানুয়ারি কার্যকর হবে।'
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত ডব্লিউএইচও-র বিভিন্ন কার্যক্রমকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। বিশেষ করে যক্ষ্মা, যা বিশ্বের প্রধান সংক্রামক ব্যাধি, সেইসঙ্গে এইচআইভি/এইডস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলার কার্যক্রমগুলো বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।
ট্রাম্পের স্বাক্ষরিত ত্যাগের আদেশে বলা হয়েছে, ডব্লিউএইচও-র মহামারি চুক্তি নিয়ে চলমান আলোচনা এই প্রক্রিয়ার মধ্যে বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ডব্লিউএইচও-তে কর্মরত মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে এবং সংস্থার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অন্য অংশীদার খোঁজা হবে।
ডব্লিউএইচও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার ট্রাম্পের জন্য অপ্রত্যাশিত নয়। তার প্রথম মেয়াদে ২০২০ সালেও তিনি সংস্থাটি ত্যাগের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তবে সেই সময় জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন।