কান্দাহারের বিমানবন্দরে তালেবানের হামলা, স্থগিত সব ফ্লাইট
আফগানিস্তানের কান্দাহার শহরের বিমানবন্দরে রকেট হামলা চালিয়েছে তালেবান, দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন গতকাল রাতে বিমানবন্দরটিতে অন্তত তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা গেছে, তালেবানরা জানিয়েছে আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনীর বিমান হামলা বন্ধ করতে তারা এই হামলা চালিয়েছে।
তালেবানের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, তাদের শত্রুপক্ষ বিমান হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ওই বিমানবন্দরকে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করায় তারা বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে।
হামলার কারণে রানওয়ে আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, একারণে তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করা হয় সব ফ্লাইট।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কান্দাহারের তাৎপর্য
কান্দাহার বিমানবন্দরেই রয়েছে আফগান বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি তালেবান দখল থেকে মুক্ত রাখতে গুরূতপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে ঘাঁটিটি। আফগানিস্তানের দক্ষিণাংশের আকাশসীমা নজরেও রাখা যায় এখান থেকে।
তালেবানরা আফগানিস্তানের গ্রামাঞ্চলের অনেক এলাকা দখলে নিতে সক্ষম হলেও প্রধান প্রধান শহরগুলোতে সুবিধা করে উঠতে পারেনি।
কান্দাহার ছাড়াও বিগত দিনগুলোতে হেরাত ও লস্কর গাহ এ দুটি শহরেও হামলা চালিয়েছে তালেবানরা। এ তিনটি শহরও অচিরেই তালেবানদের দখলে যাবে কিনা এ নিয়েও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার হেরাতের জাতিসংঘ স্থাপনায় হামলা চালায় তালেবান, এ হামলায় একজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন, আহত হন বেশ কয়েকজন।
এ হামলার পরপরই পাল্টা বিমান হামলা করে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী।
আর কী জানা গেছে?
কান্দাহারের নিকটস্থ লস্কর গাহ ও হেলমান্দ প্রদেশে তালেবানদের হামলা বৃদ্ধির মধ্যেই কান্দাহারের বিমানবন্দরে হামলার ঘটনা ঘটায় তারা।
প্রাদেশিক কাউন্সিলের প্রধান কান্দাহারে স্পেশাল ফোর্সের সদস্য মোতায়েনের জন্যও অনুরোধ জানিয়েছেন। শহরটিতে প্রায় ২ লাখ মানুষের বাস।
এদিকে, দেশটির পশ্চিমে অবস্থিত অর্থনৈতিক দিক থেকে গুরূত্বপূর্ণ হেরাত শহরেও হামলা বজায় আছে এখনো। এএফপি'র বরাতে জানা গেছে, প্রাদেশিক গভর্নর জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ১০০জন জঙ্গী মারা গেছে।
- সূত্র: ডয়েচে ভেলে