গবেষণাগারে তৈরি মাংস ব্যবহারের অনুমতি দিল সিঙ্গাপুর
স্থানীয় নয়া-উদ্যোগ ইট জাস্ট'কে গবেষণাগারে তৈরি মুরগির মাংস বিক্রির অনুমতি দিয়েছে সিঙ্গাপুর। দূষণ ও প্রাণী নির্মমতা মুক্ত এই মাংসকে বলা হচ্ছে তথাকথিত ক্লিন মিট। উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের দাবি, এই প্রথম কোনো দেশের নিয়ামক সংস্থা প্রাণীদের হত্যা না করে উৎপাদন করা ক্লিন মিট ব্যবহারের সবুজ সংকেত দিল।
সিঙ্গাপুরসহ উন্নত বিশ্বে ভোক্তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, প্রাণী কল্যাণের আগ্রহ ও পরিবেশ সুরক্ষার উদ্বেগে বেড়েছে প্রচলিত মাংসের বিপরীত উপায়ের চাহিদা। একারণে, উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে তৈরি মাংস বিয়ন্ড মিট ইঙ্ক ও ইম্পসিবল ফুডস নামক দুই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দখল করতে থাকে সুপারমার্কেটে পণ্যের তাক আর রেস্তোরাঁর খাদ্য তালিকা।
বার্কলেইজ-এর মতে আগামী দশকে বিকল্প মাংসের বাজার হবে ১৪০ কোটি ডলারে বা ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলারের প্রচলিত মাংস শিল্পের ১০ শতাংশ এর দখলে যাবে।
তবে প্রাণী কোষ অংশ থেকে গবেষণাগারে কৃত্রিমভাবে তৈরি মাংসকেই বলা হয় কালচারড বা ক্লিন মিট। বেশি খরচের কারণে এই উদ্যোগ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে।
আজ বুধবার (২ ডিসেম্বর) ইট জাস্ট জানায়, প্রাণী কোষ থেকে উৎপাদিত এই মাংসকে মানুষের খাওয়ার জন্য নিরাপদ হিসাবে প্রথম নিয়ামক সংস্থার অনুমতি মেলায়, আগামীতে তারা সিঙ্গাপুরে ছোট আকারে পণ্যটির বাজারজাতকরণের লক্ষ্য নিচ্ছে।
ইতোপূর্বে, জানানো হয় নাগেট হিসাবেই তারা এই কৃত্রিম মুরগির মাংস বিক্রি করবে। তবে প্যাকেটপ্রতি দামটা বেশ চড়া, প্রায় ৫০ মার্কিন ডলার।
তবে জাস্ট ইটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জশ টেট্রিক জানান, আগের চাইতে খরচ অনেক কমেছে এবং বর্তমানে এর মূল্য প্রচলিত প্রিমিয়াম চিকেনের মূল্যে রেস্তোরাঁ পর্যায়ে খুব শিগগির প্রথম বাজারজাত করা হবে। এসময় অবশ্য তিনি নির্দিষ্ট মূল্য ও তারিখ উল্লেখ করতে রাজি হননি।
বিশ্বব্যাপী এখন প্রায় দুই ডজনের বেশি প্রতিষ্ঠান গবেষণাগারে তৈরি মাছ, গরু এবং মুরগির মাংস তৈরির পরীক্ষা চালাচ্ছে। তাদের আশা এর মাধ্যমে প্রচলিত মাংসের বাজারকে একসময় প্রতিস্থাপন করা যাবে।
- সূত্র: বিবিসি