চলতি বছরের শেষদিকে করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর টিকা আনবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা
দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি মোকাবিলা করতে উন্নত ও কার্যকর একটি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলতি বছরের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে, বলে জানিয়েছেন অ্যাস্ট্রাজেনেকার অস্ট্রিয়া শাখার এক কর্মকর্তা।
আজ রোববার (১৮ এপ্রিল) সংস্থাটির অস্ট্রিয়া কান্ট্রি ম্যানেজার সারাহ ওয়াল্টার্স নামক ওই কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। তিনি কুরিয়ার নামক একটি দৈনিককে সাক্ষাৎকার দেন, যেখানে তিনি স্বীকার করেন যে, দ. আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া নতুন ধরনটি মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন তেমন একটা কাজ করে না বলে চলমান গবেষণাগুলোয় কিছু প্রমাণ মিললেও- তথ্যের পরিমাণ টিকাটি অকার্যকর বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো যথেষ্ট নয়।
"তবে এ সংক্রান্ত বিশ্লেষণ চলমান থাকা অবস্থাতেই দ. আফ্রিকার ধরনটি মোকাবিলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান ভ্যাকসিনের উন্নতকরণ শুরু করেছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ উন্নত ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত হয়ে যাবে," ওয়াল্টার্স বলেছেন।
ইউরোপিয় ইউনিয়নে পূর্ব স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী টিকার চালান দিতে দেরির পেছনে 'জটিল উৎপাদন প্রক্রিয়া'সহ মহামারির কারণে ভ্যাকসিন ডোজের বিপুল চাহিদাকে প্রধানত দায়ী করেন এ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, "কোনো প্রকার মজুত না রেখেই আমাদের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হচ্ছে। তাই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কোনো রকম প্রস্তুতি ছিল না। তবে এখন আশা করছি, চলতি বছরের শেষ নাগাদ আমরা ইইউকে ৩০ কোটি ডোজ সরবরাহ করতে পারব।"
কুরিয়ারে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ওয়াল্টার্স তার সংস্থার টিকা নিয়ে ওঠা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিগুলো নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। ইতোপূর্বে, ইইউ রক্ত জমাট বাধার ঘটনায় ভ্যাকসিনটির বিষয়ে সতর্কতা জারি করে। ডেনমার্ক এই টিকার ডোজ দেওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করেছে, অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে ৩০ বছরের কম বয়সীদের অন্য কোম্পানির টিকাগ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
- সূত্র: রয়টার্স