ঝুঁকি সত্ত্বেও লকডাউন আরও শিথিল করলো ইতালি
ইতোপূর্বে কিছু কিছু বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার অনুমতি দিয়েছিল ইতালি। গতকাল শনিবার দেশটি যোগাযোগ নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছে। যা কার্যকর হবে আগামী ৩ জুন থেকে।
ফলে ইতালি থেকে অন্যদেশে যাতায়াতের রাস্তা হবে উন্মুক্ত। দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে না গিয়েই ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবে ইউরোপীয় পর্যটকরা।
দেশের ভেতরেও বিভিন্ন অঞ্চলের মাঝে ভ্রমণে কড়াকড়ি আর আরোপ করা হবে না।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিসেপে কন্তে আগামী ২৫ মে থেকে জনসমাগমের নানা কেন্দ্র যেমন প্রেক্ষাগৃহ, সুইমিং পুল এবং অন্যান্য ক্রীড়া কেন্দ্রগুলোও সচল করার কথা জানিয়েছেন।
এসময় তিনি অবশ্য স্বীকার করেন এসব পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে তার দেশ একটি 'সুনির্দিষ্ট এবং হিসেবি ঝুঁকি' নিচ্ছে।
কন্তে বলেন, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, কারণ সংক্রমণের হার আবারও বাড়তে পারে। তবে এটাও ঠিক করোনার কার্যকর টিকা আবিষ্কারের আগপর্যন্ত অপেক্ষা করার সমক্ষ্মতা আমাদের নেই।
একথার মধ্য দিয়ে তিনি, টানা দুই মাসের লকডাউনের কারণে- অর্থনীতির স্থবির অবস্থা যে কাটিয়ে ওঠার দিকে তার দেশ যে মনোযোগী হয়েছে সেদিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ইতালির জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, সেখানে করোনার মহামারি মোট ৩১ হাজার ৭৬৩ জনের প্রাণ কেড়েছে। ইউরোপে সবার আগে আক্রান্ত হয় ইতালি। তখন পরিস্থিতি ছিল ভয়ঙ্কর। শেষ পর্যায়ে প্রতিদিন মারা গেছেন প্রায় সহস্র মানুষ।
বর্তমানে মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের পরেই তৃতীয় অবস্থানে ইতালি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে নতুন সংক্রমণের হার উল্লেখজনকহারে কমায় দেশটির সরকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার দিকে মনোযোগী হয়েছে।