দিদি ডিফিটস মোদি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপিকে পরাজিত করেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০টি'রও বেশি আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন ৬৬ বছর বয়সী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিছু আসনের নির্বাচনী ফলাফলের চূড়ান্ত গণনা এখনও চলছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান ওই কর্মকর্তারা।
মহামারিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার না দিয়ে নির্বাচনের দিকে মনোনিবেশ করায় সমালোচনা হচ্ছিল নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। মহামারিকালে এসে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই জনসভা করা, নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোটদানের জন্য নির্বাচন কমিশনকেও দোষারোপ করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এই নির্বাচনে পরাজিত হলেও রাজ্যটিতে নিজেদের রাজনৈতিক ভিত্তি যথেষ্ট শক্ত করেছে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যেখানে তারা মাত্র ৩টি আসনে বিজয়ী হয়েছিল সেখানে পাঁচ বছরের ব্যবধানে ২০২১ সালের নির্বাচনে ৮০টি আসনে বিজয়ী হয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দলে পরিণত হয়েছে।
ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ২৯২টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২১৫টি আসনে ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস যার মধ্যে ৫৪টি আসনে দলটির জয় নিশ্চিত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি এগিয়ে আছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৫টি আসনে। এখন পর্যন্ত তাদের জয় নিশ্চিত হয়েছে ১১টি আসনে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় সেক্যুলার মজলিস পার্টি একটি আসনে ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১টি আসনে এগিয়ে আছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আট পর্বের ভোটগ্রহণ শেষে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হচ্ছে আজ রোববার (২রা মে)। গত দশ বছর ধরে রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যটি দখলে রাখতে পারবে, না কি তাদের হটিয়ে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি প্রথমবারের মতো পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে, সে দিকেই গত কয়েক মাস ধরে সবার নজর ছিল।
কড়া নিরাপত্তা ও ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতীয় সময় আজ সকাল ৮টা (বাংলাদেশ সাড়ে ৮টা) থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯২টি আসনের ভোট গণনা শুরু হয়।
বস্তুত পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ভোট গোনা হয় ভারতের আরও চারটি রাজ্য- তামিলনাডু, কেরালা, পন্ডিচেরি ও আসাম রাজ্যে। কিন্তু সবার ছিল নজর পশ্চিমবঙ্গের দিকেই যার মূল লড়াই ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে।