প্যাংগংয়ে আবারও ঢোকার চেষ্টা চীনের, রুখে দেওয়ার দাবি ভারতীয় সেনাবাহিনীর
প্যাংগং সো লেকের কাছে 'প্ররোচনামূলক সামরিক গতিবিধির' চেষ্টা করেও ভারতীয় সেনার কাছে আটকে যেতে হয়েছিল। ভারতের সেই বিবৃতির পর চীনের তরফে দাবি করা হলো, 'কঠোরভাবে' প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা মেনে চলে চীনা সেনা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করার চেষ্টাই করেনি পিপলস লিবারেশন আর্মির ফৌজিরা (পিএলএ)। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, 'চীনা সীমান্ত বাহিনী সর্বদা কঠোরভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা মেনে চলে। ওরা কখনো নিয়ন্ত্রণরেখা টপকায়নি। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে দু'পক্ষে সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে।'
ভারতীয় সেনা জানায়, গত ২৯-৩০ আগস্টের মধ্যবর্তী রাতে চীনের আগ্রাসী চেষ্টার বিষয়টি নিয়ে চুশুলে বৈঠকে বসেছে দু'পক্ষ। যদিও তা নিয়ে বেজিংয়ের তরফে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।
লিজিয়ান বলেন, 'আমি বলেছি যে কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে দু'পক্ষ যোগাযোগ রেখে চলেছে। যদি কোনো নির্দিষ্ট বৈঠক ও আলোচনা থাকে তাহলে আমরা তা নির্দিষ্ট সময়ে প্রকাশ করব।'
সোমবার সকালে ভারতীয় সেনার তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, পূর্ব লাদাখের সীমান্ত বিবাদ ঘিরে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরের আলোচনায় দু'দেশ যে ঐক্যমতে পৌঁছেছিল, গত শনিবার-রোববারের মধ্যবর্তী রাতে তা লঙ্ঘন করেছে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)।
সীমান্তের অবস্থা পরিবর্তনের জন্য চীনা সেনা 'প্ররোচনামূলক সামরিক গতিবিধি' চালিয়েছে বলে জানান ভারতীয় সেনাবাহিনীর জনসংযোগ কর্মকর্তা কর্নেল আমন আনন্দ।
যদিও ভারতীয় সৈন্যদের তৎপরতা এবং সতর্কতায় চীনের সেই চেষ্টা সফল হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
বিবৃতিতে বলা হয়, 'প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ তীরে চীনা সেনার গতিবিধি আগেই রুখে দিয়েছে ভারতীয় বাহিনী, আমাদের অবস্থান শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ করেছে এবং সীমান্তে একতরফাভাবে তথ্য পরিবর্তনের যে উদ্দেশ্য ছিল চীনের, তা আটকে দিয়েছে।'
তবে চীনের এই 'জবরদস্তি' পদক্ষেপ যে ভারত মেনে নেবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। বলা হয়, 'আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ভারতীয় সেনা। কিন্তু নিজেদের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করার ক্ষেত্রেও (সেনাবাহিনী) সমানভাবে বদ্ধপরিকর।'
অথচ মাত্র দু'দিন আগে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে নয়াদিল্লিকে বার্তা দেওয়া হয় যে 'দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বৃহৎ ছবি' দেখা উচিত ভারতের। একইসঙ্গে 'সাধারণ' পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার মজবুত পদক্ষেপ ফেলার বার্তা দিয়েছিল বেজিং।