ফাইজার টিকা: সরবরাহ ইস্যু দ্রুত টিকা পৌঁছানোয় বড় বাধা
টিকা সরবরাহ নিয়ে বাঁধার মুখে পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে ফাইজারের আরো ১০ কোটি ডোজ টিকা কেনা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। সংক্রমণের যখন ঊর্দ্ধগতি তার মাঝেই একথা জানা গেল।
ট্রাম্প প্রশাসন এবং ফাইজার ইঙ্ক উভয়পক্ষের কর্মকর্তারা জানান, আগামী বছরের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে আরো ১০ কোটি ডোজ কেনার বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা চলমান রয়েছে। তবে আলোচনার অগ্রগতিতে বাঁধ সেধেছে টিকা সরবরাহের সময়। মার্কিন সরকার চাইছে দ্রুতগতিতে আলোচিত সংখ্যক ডোজ পেতে, অন্যদিকে ফাইজারের পক্ষ থেকে বৈশ্বিক বাজার চাহিদা পূরণকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে মার্কিন স্বাস্থ্য ও মানব সেবা বিষয়ক মন্ত্রী অ্যালেক্স আজার গত বুধবার জানান, আলোচনার প্রধান সমস্যাটি হলো; ফাইজারের নিজস্ব সরবরাহ চক্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। ফলে তারা আগামী বসন্ত নাগাদ ১০ কোটি ডোজ সরবরাহে সমস্যার মুখে পড়বে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার ফাইজারের সঙ্গে উৎপাদন সংক্রান্ত এই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা চালাবে।
দ্রুত টিকা উৎপাদনে মার্কিন সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ অপারেশন ওয়ার্প স্পিডের সংবাদ সম্মেলনে আজার বলেন, 'বিদ্যমান চুক্তির শর্তের আওতায় আমরা প্রাপ্য সুযোগগুলো গ্রহণ করব। তাই বাড়তি টিকা পাওয়াটা যেন নিশ্চিত করা যায়, সেটা নিয়ে আমরা তাদেরকে কী সাহায্য করতে পারি- তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
সম্ভাব্য উপায় হিসেবে ডিফেন্স প্রোডাকশন অ্যাক্টের আওতায় ফাইজারের ভ্যাকসিন উৎপাদনে ব্যবহৃত জরুরি কিছু উপাদানের কাঁচামালের উৎপাদন বাড়ানো হতে পারে। গত মঙ্গলবার সিএনবিসি'র প্রতিবেদক শেফার্ড স্মিথকে এমন কথা জানান মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, 'উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে ফাইজার আমাদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে। তাদের কী প্রয়োজন সেটাও খুলে বলছে না। তাই আসলেই তাদের কাঁচামাল সঙ্কট আছে কিনা সেটা আমাদের পক্ষে তারা না বললে আগে থেকে জানা সম্ভব নয়। কিন্তু, প্রশাসন নিশ্চুপ বসে থাকবে না। জরুরি সঙ্কটের সময় আমাদের প্রেসিডেন্ট কিছু বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। এবং তিনি তা করবেনও। মার্কিন জনতার স্বার্থে যেকোনো উপায়ে ফাইজার যেন চুক্তিতে উল্লেখিত সব শর্ত মেনে চলে তা নিশ্চিত করা হবে।'
- সূত্র: সিএনএন