বাংলাদেশেও প্লাস্টিক বর্জ্য ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া
বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানিকৃত ১৫০ কন্টেইনার প্লাস্টিক বর্জ্য ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বর্জ্যগুলো ১৩টি দেশে পাঠানো হয়েছে, যেগুলোর বেশিরভাগই ধনী।
মালয়েশিয়ার পরিবেশমন্ত্রী ইয়েও বি ইন বলেন, যারা তার দেশকে আবর্জনার ডাস্টবিন বানাতে চান, তারা স্বপ্নেই থাকুক।
চীন ২০১৮ সালে প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ আবর্জনা যায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে।
তবে মালয়েশিয়াসহ উন্নয়নশীল অন্য দেশগুলো এসব আবর্জনা ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে।
মালয়েশিয়ার পরিবেশমন্ত্রী ইন বলেন, চলতি বছরের মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে আরও ১১০ কন্টেইনার বর্জ্য ফেরত পাঠানোর কথা রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্জ্যের পাচার রোধে মালয়েশিয়ার বন্দরগুলোতে কড়াকড়ি আরোপ ও দুই শতাধিক অবৈধ প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা বন্ধ করায় তিন হাজার ৭৩৭ মেট্রিক টন বর্জ্য পাঠানো সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্জ্য ফেরত পাঠাতে মালয়েশীয় সরকার এক পয়সাও খরচ করেনি। এ অর্থ বহন করেছে জাহাজে পণ্য পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান ও আমদানিকারকরা।
তার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফেরত যাওয়া ১৫০ কন্টেইনারের মধ্যে ফ্রান্সে ৪৩, যুক্তরাজ্যে ৪২, যুক্তরাষ্ট্রে ১৭, কানাডায় ১১ ও স্পেনে ১০টি পাঠানো হয়েছে।
বাকিগুলো পাঠানো হয়েছে হংকং, জাপান, সিঙ্গাপুর, পর্তুগাল, চীন, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও লিথুয়ানিয়ায়।