বিদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কারের পরিকল্পনা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র
বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা নিয়ে রাতারাতি নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলালো ট্রাম্প প্রশাসন। গত মঙ্গলবার এক ঘোষণায় ইতোপূর্বে নেওয়া বিদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কারের এক পরিকল্পনা থেকে সরে আসে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সাম্প্রতিক অভিবাসন নীতি নিয়ে শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর নেওয়া আইনি পদক্ষেপের চাপে পড়েই, ট্রাম্প প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগের সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে যেসব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করছেন, তাদের সরাসরি ক্লাস নেওয়া হচ্ছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এমনটা করতে ব্যর্থ হলে; অনলাইনে পাঠগ্রহণকারী বিদেশি ছাত্রদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কথা বলা হয়। করোনা মহামারিতে যখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে; তখন আকস্মিক এই ঘোষণায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন বিদেশি শিক্ষার্থীরা। অনিশ্চিত হয়ে পড়ে প্রায় ১০ লাখ বিদেশির শিক্ষাগ্রহণ।
হাভার্ড ও এমআইটির মতো খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সঙ্গে সঙ্গেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
করোনার মহামারির মাঝে শিক্ষার্থীদের জোর করে ক্যাম্পাসে ফেরানোর এ উদ্যোগে দেশটির শীর্ষ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসহ যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি অঙ্গরাজ্য।
এই প্রেক্ষাপটে গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিক্যিউরিটি এক বিভাগের কর্মকর্তা আলোচিত পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসার কথা জানান। তবে তিনি আরও জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অনলাইনে ক্লাস করা বিদেশি ছাত্ররা যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারবে কিনা সেই সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রকাশ করবে ট্রাম্প প্রশাসন।