ভারতে অক্সফোর্ড টিকার অনুমোদন চেয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউড
পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রতিষেধকের ডোজ উৎপাদন করে থাকে ভারতের পুনে ভিত্তিক সংস্থা- সেরাম ইনস্টিটিউড। বৃহত্তম এই উৎপাদকটি এবার যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির আবিষ্কৃত কোভিড-১৯ টিকা ভারতে জরুরি প্রয়োগের স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেছে।
স্থানীয়ভাবে এই টিকার ট্রায়ালে সেরাম অংশীদার ছিল। তাছাড়া, ভারতের নিজস্ব চাহিদা এবং উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশে সরবরাহের লক্ষ্যে তারা শত কোটি ডোজ উৎপাদনের লাইসেন্স নিয়েছে।
সেরামের সঙ্গে দেশের বৃহৎ ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট বেক্সিমকো ফার্মা- চলতি বছরের আগস্টের শেষে চুক্তি করে। এর ফলে বাংলাদেশে বেসরকারি পর্যায়ে টিকাটি আমদানি ও বিপণন করতে পারবে তারা।
আজ সোমবার (৭ ডিসেম্বর) নিয়ামক সংস্থার কাছে আবেদনের কথা টুইট বার্তায় জানান সেরামের মুখ্য নির্বাহী আদর পুনেওয়াল্লা। সেখানে তিনি লেখেন, পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুসারে ২০২০ সাল শেষ হওয়ার আগেই সেরামইন্সইন্ডিয়া ভারতে উৎপাদিত কোভিশিল্ড টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে।'
এখনও পরীক্ষাধীন টিকাটি দুই থেকে আট ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়। ফলে ভারতের মতো বিশাল দেশে তা সহজেই বিতরণ করা সম্ভব। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশটিই বর্তমানে কোভিড-১৯ সংক্রমিতের সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯৬ লাখ।
এই অবস্থায় কোম্পানিটি ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক মহাপরিচালকের দপ্তর (ডিসিজিআই) বরাবর স্বীকৃতির আবেদন করে। বাজারে এলে টিকাটি অসংখ্য জীবন বাঁচাতে সক্ষম হবে বলে পুনেওয়াল্লা উল্লেখ করেন। তবে তিনি এব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।
গত শনিবার মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা-ফাইজার ইঙ্ক ভারতে তাদের আবিষ্কৃত প্রতিষেধকের জরুরি ব্যবহারের সবুজ সংকেত পেতে আবেদন করে। তারপরই, সেরামের তরফে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকাকে একইভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন করা হলো।
ইতোপূর্বে, গত মাসেই নিজেদের তৈরি টিকা শেষ ট্রায়ালে ৯০ শতাংশের বেশি সফলতা অর্জন করেছে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের দুই ফার্মা জায়ান্ট মডের্না ও ফাইজার ইঙ্ক। ফাইজারের ন্যায় মডের্নাও ৯৫ শতাংশের কাছাকাছি কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে সাফল্যের তথ্য উল্লেখ করে।
এর মধ্যে ফাইজারের টিকা গত সপ্তাহেই যুক্তরাজ্যে জরুরি ব্যবহারের অনুমতি পায়। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনও আসন্ন বড়দিনের আগে দুই কোম্পানির টিকাকেই সবুজ সংকেত দিতে পারে।
এর সঙ্গে আস্ট্রাজেনেকার টিকাটিও যুক্তরাজ্য ও ভারতে স্বীকৃতি পেলে তা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশেও মহামারির লাগাম টেনে ধরার নতুন সম্ভাবনা যোগ করবে।
- সূত্র: আল জাজিরা