ভারত মহাসাগরে ব্যবহার হচ্ছে অবৈধ ড্রিফটনেট: গ্রিনপিস
ভারত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমে ব্যাপক হারে অবৈধ ড্রিফটনেট ব্যবহার হচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনপিস। ফলে পরিবেশ ঝুঁকির মুখে থাকা এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, সমুদ্রে ২ সপ্তাহের পর্যবেক্ষণে তারা দেখেছেন, তাদের ২০ বর্গমিটারের মধ্যে সাতটি জাহাজ টুনামাছ ধরতে ড্রিফটনেট ব্যবহার করছে। রাডারের মাধ্যমে আরও আটটি জাহাজের ড্রিফটনেট ব্যবহারের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন তারা।
"ইয়েলোফিন টুনা যদি এ হারে কমতে থাকে, তবে এ অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে," জানায় গ্রিনপিস।
'ওয়ালস অব ডেথ' হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ড্রিফনেটে মাছের সাথে সাথে অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীও ধরা পড়ায় ৩০ বছর আগে জাতিসংঘ এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।
সোমালিয়া থেকে ৫০০ মাইল পশ্চিমে এসব নেটে ধরা পড়ে মৃত হাঙর ও ম্যান্টা রে মাছের ফুটেজ রয়টার্সের কাছে প্রকাশ করেছে গ্রিনপিস।
"মাছ ধরার সময় এই জালে অন্যান্য মাছ ও প্রাণী ধরা পড়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত আমরা,"
একই অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে অনিয়ন্ত্রিতভাবে স্কুইড ধরার হারও বেড়েছে বলে জানানো হয়।
"আমরা যতোগুলো জাহাজ দেখেছি সবগুলোই ড্রিফটনেট ব্যবহার করছে, তাহলে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার অর্থ কী আর?" প্রশ্ন রাখেন গ্রিনপিস ইউকে'র হেড অব ওশান উইল ম্যাককুলাম।
"আন্তর্জাতিক জলসীমায় বলতে গেলে আইনের ব্যবহার নেই। এ সমস্যা সমাধানে আমাদের একটি বৈশ্বিক সমুদ্র চুক্তি প্রয়োজন," বলেন তিনি।
এ ধরনের চুক্তির জন্য আগামী আগস্টে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
গত মাসে ভারত মহাসাগরে টুনামাছের সংখ্যা কমে যাওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করতে ৩০টি দেশের প্রতিনিধিরা সাক্ষাৎ করেন। তবে নতুন কোনো চুক্তির আলোচনা ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
- সূত্র: রয়টার্স