ভ্যাকসিন সরবরাহে দেরি নিয়ে সেরামকে আইনি নোটিশ দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা
ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ প্রস্তুতকারক- অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন সরবরাহে দেরি হওয়ায় সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়াকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে বলে কিছু গণমাধ্যমের সংবাদ সূত্রে জানা গেছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকে লাইসেন্স নিয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন- কোভিশিল্ড নামে উৎপাদন ও বাজারজাত করছে সেরাম। গতকাল মঙ্গলবার সেরামের মুখ্য নির্বাহী আদর পুনেওয়াল্লা স্বীকার করেন যে, তার সংস্থার বিদ্যমান উৎপাদন সক্ষমতা 'প্রচণ্ড চাপে'র মধ্যে আছে। এর একদিন পরই আজ বুধবার আইনি নোটিশের সংবাদ প্রকাশ করে প্রথমসারির ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
সাক্ষাৎকারে পুনেওয়াল্লা জানান, ভারত সরকার দেশের বাইরে কোভিশিল্ডের বড় চালান রপ্তানি স্থগিত করেছে, তার পাশাপাশি স্থানীয় কোম্পানি হিসেবে সেরামের সঙ্গে 'প্রথম অধিকারের' ভিত্তিতে যে চুক্তি তারা করেছে- সেটি বিদেশী পক্ষগুলো বুঝতে চাইছে না।
তিনি বলেন, "বিশ্ব এই ভ্যাকসিন চায়, তবে সরবরাহের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে আমরা ভারতের চাহিদাকে প্রাধান্য দিচ্ছি। টিকা পাওয়ার উপযুক্ত সকল ভারতীয় নাগরিকের চাহিদা পূরণে এই মুহূর্তে আমাদের ঘাটতির মুখেও পড়তে হচ্ছে।"
গেল সপ্তাহে সেরাম নির্বাহী বলেছিলেন, তাদের ভ্যাকসিন রপ্তানির উপর সরকার সম্পূর্ণ আকারে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। সেময় তিনি আরও জানান, সেরাম বর্তমানে মাসিক ৬ থেকে সাড়ে ৬ কোটি ডোজ উৎপাদন করছে, এবং ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে ১০ কোটি ডোজ সরবরাহ করেছে। আর রপ্তানি করে ৬ কোটি ডোজ।
ভারত সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় বিশাল মূল্যছাড়ে প্রতিটি ডোজ বিক্রি করছে সেরাম। একারণে, জুন নাগাদ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে ৩ হাজার কোটি রুপির তহবিল সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
সেরাম কোভিশিল্ড টিকার প্রতিটি ডোজ ভারত সরকারকে মাত্র ১৫০ রুপি মূল্যে বিক্রি করছে, সেই তুলনায় রপ্তানি করছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি মূল্যে।
পুনেওয়ালা বলেন, "গড় মূল্য ২০ মার্কিন ডলার (১৫০০ রুপি) হলেও আমরা ভারত সরকারকে প্রতি ডোজ ১৫০-১৬০ রুপিতে দিচ্ছি। মোদির অনুরোধেই আমরা এই বিশেষ ছাড়কৃত মূল্যে সরবরাহ করছি, তাতে লাভের পরিমাণ অনেক কমেছে, আর এতো অল্প লাভ দিয়ে পুনরায় বিনিয়োগ করাও অসম্ভব।"