মহামারি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের জন্য মোদির কাছে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের আবেদন
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে গবেষণা, পূর্বাভাস ও সংক্রমণ কমাতে মহামারি সংক্রান্ত তথ্য উন্মুক্ত করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন করেছেন দেশটির বিজ্ঞানী ও গবেষকরা।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআই) কাছে এপর্যন্ত আক্রান্তদের তথ্য থাকলেও, প্রতিষ্ঠানটির বাইরের গবেষকদের জন্য এসব তথ্য উন্মুক্ত করা হয়নি। বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০০ জন বিজ্ঞানী এসব তথ্য উন্মুক্ত করার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন।
"আইসিএমআইয়ের ডেটাবেজে সরকারি কর্মকর্তা ছাড়া সকলের জন্য প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত," লিখেন তারা।
তারা আরও বলেন, "নতুন মহামারির বৈশিষ্ট্য অনিশ্চিত, পদ্ধতিগতভাবে মহামারি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ না করায় এবং নিয়মিতভাবে বিশ্বের বিজ্ঞানী মহলে এসব তথ্য প্রদান না করার ফলেও আমরা মহামারির সংক্রমণ রোধে ব্যর্থ হয়েছি।"
বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গগণদ্বীপ কাং, আশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক গৌতম মেনন উক্ত আবেদনে স্বাক্ষর করেন।
অস্বচ্ছ এবং দেরিতে তথ্য প্রকাশের জন্য প্রায়ই অর্থনীতিবিদ, বিজ্ঞানী ও অন্যান্য গবেষকদের সমালোচনার মুখে পড়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এর আগে ২০১৭ সালে অপরাধ সম্পর্কিত পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে। ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে বেকারত্ব বৃদ্ধি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে মোদি প্রশাসন তা নাকচ করে দিলেও, নির্বাচনের পর তা স্বীকার করে। এছাড়া, গত বছর হঠাৎ করে লকডাউন জারি করার পর কতো সংখ্যক অভিবাসী ঘরে ফিরতে গিয়ে মারা যান তার কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছে দেশটির নীতিনির্ধারকরা।
করোনাভাইরাস সম্পর্কিত তথ্য উন্মুক্ত করা বর্তমান সময়ে জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, দেশটিতে মহামারির সেকেন্ড ওয়েভে নতুন আরও অভিযোজিত স্ট্রেইনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বড় পরিসরে তথ্য সংগ্রহের জন্য অর্থায়ন ও সংগঠনের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির আবেদনও করেন বিজ্ঞানীরা।
"এধরনের তথ্য সংগ্রহ ও নিয়মিত এসব তথ্য প্রকাশ ছাড়া আমরা কার্যকরভাবে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলা করতে পারবো না," বলেন তারা।
- সূত্র: ব্লুমবার্গ