মার্কিন নির্বাচন ২০২০: অন্য দেশ নিয়ে ট্রাম্পের টুইট বার্তা!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদকালে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ধরণ পরিবর্তন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী অনেক বন্ধু রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক বদলে গেছে, নতুনভাবে অনেক রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক শুরু হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন সময় এসব ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারেও পোস্ট করেছেন। আসন্ন মার্কিন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দেশের ব্যাপারে নানা সময়ে করা তার উল্লেখযোগ্য মন্তব্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
আফগানিস্তান
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সব প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তান বিষয়ে একমত ছিলেন।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত আগে থেকেই আফগানিস্তানের যুদ্ধ ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেন। ২০১৩ সালে এক টুইটার বার্তায় বলেন, 'আফগানিস্তানে আমাদের বিপুল পরিমাণে জনবল ও সম্পদ নষ্ট হয়েছে। দেশটির সরকার এব্যাপারে কৃতজ্ঞ নয়। আমাদের এখনই সেখান থেকে বের হয়ে আসা উচিৎ।'
২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউজের একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আমরা আফগানিস্তানে অভূতপূর্ব সফলতা পেয়েছি। তবে আমাদের সৈন্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে।'
আর্জেন্টিনা
আর্জেন্টিনার সাবেক প্রেসিডেন্ট মারিসিও মাক্রির সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারিবারিক ব্যবসা সূত্রেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। ২০১৭ সালে এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, 'আমার বন্ধু ও আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মাক্রির সাথে এসপ্তাহে আলোচনা হয়েছে। সে দেশটির জন্য অসাধারণ কাজ করছে।'
তবে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ ট্রাম্পের বিজয়কে 'প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির বিজয়' বলে তীর্যক মন্তব্য করেন।
অস্ট্রেলিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বন্ধুদেশ অস্ট্রেলিয়া। দুটি দেশের সেনাবাহিনী ইরাক ও আফগানিস্তানে একত্রে কাজ করছে। ২০১৮ সালে ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে অভিনন্দন। যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়ার মতো বন্ধু খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।'
ব্রাজিল
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো সবসময়-ই যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষত ট্রাম্পের প্রশংসা করে এসেছেন। ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য ব্রাজিলকে যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করবে এমন ঘোষণাও দিয়েছিলেন ট্রাম্প। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলার ক্ষেত্রেও দেশ দু'টির প্রেসিডেন্ট একইরকম খাম-খেয়ালি আচরণ করেছেন। বলসোনারোর ব্যাপারে ট্রাম্পের টুইটবার্তা-
'মাত্রই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোর সাথে ফোনে কথা হলো। বাণিজ্য-সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি আমরা। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের সম্পর্ক আগে কখনোই এতো ভালো ছিলনা।'
কানাডা
ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে জয়লাভ করার পর, প্রথম দিকেই যেসব বিশ্বনেতা হোয়াইট হাউজ ভ্রমণ করেন তাদের মধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো একজন।
২০১৮ সালে ট্রাম্প কানাডার ব্যাপারে ট্রাম্পের টুইটবার্তা-
'আমি কানাডাকে ভালবাসি। তবে তারা অনেক বছর ধরে আমাদের দেশের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে নানা সুবিধা নিয়েছে।'
কানাডার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি।
চীন
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় এতোবার চীনের কথা বলেছেন যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা হাস্যরসের বিষয়ে পরিণত হয়। চীন যুক্তরাষ্ট্রকে 'ধর্ষণ' করছে এমন মন্তব্যও করেন তিনি। করোনাভাইরাস মহামারির জন্যও চীনকে দায়ী করে আসছেন। করোনাভাইরাসকে 'চীনা ভাইরাস' মন্তব্য করে টুইটার বার্তায় বলেন- "যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের অপরিণাম ক্ষতি করেছে চীন। করোনাভাইরাস বিশ্বকে দেয়া চীনের 'জঘন্য উপহার'।
চীন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের সাথে কাজ করছে এমন অভিযোগও এনেছেন নির্বাচনী প্রচারণার কালে।
কিউবা
২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল তিনি কিউবার সাথে সম্পর্ক প্রতিস্থাপনের ব্যাপারে বারাক ওবামার পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন। তবে নির্বাচনে জয়লাভের পর তিনি ঘোষণা দেন, তিনি কিউবার সাথে চুক্তি বাতিল করবেন। এছাড়া, ভ্রমণ ও বাণিজ্যের ব্যাপারে কিউবার ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেন।
ট্রাম্পের মতে, 'পূর্ববর্তী মার্কিন সরকার কিউবার সাথে একটি একপাক্ষিক চুক্তি করেছে, এর মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে সমর্থন দিয়ে কিউবার জনগণের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।'
ডেনমার্ক
ডেনমার্কের সাথে ট্রাম্পের বিভিন্ন সময়ের সম্পর্কের উত্থানপতন দেখা যায়। ট্রাম্প নির্বাচনে জয়লাভ করার পর, প্রথম দিকেই যেসব বিশ্বনেতা হোয়াইট হাউজ ভ্রমণ করেন তাদের মধ্যে ডেনমার্কের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লারস লোকে রাসমাসেন-ও ছিলেন।
২০১৭ সালে ন্যাটো, জিডিপি এসব বিষয়ে একটি সফল বৈঠকও হয় দেশ দুটির মধ্যে। তবে ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। প্রতিক্রিয়ায় রাসমাসেন এক টুইটার বার্তায় এই প্রস্তাবকে ভুল সময়ের 'এপ্রিল ফুল' কৌতুক বলে মন্তব্য করেন। পরবর্তীতে ক্ষুদ্ধ হয়েই হয়তো ডেনমার্ক সফর বাতিল করেন ট্রাম্প।
মিশর
২০১৬ সালে মিশরের প্রেসিডেন্ট এবং বন্দুকের জোরে ক্ষমতা দখলকালী আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি'কে একজন 'অসাধারণ মানুষ' বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। ২০১৭ সালের এক টুইট বার্তায় তিনি জানান, 'কোনো ধরণের সন্দেহের অবকাশ না রেখে সবাইকে জানাতে চাই, আমরা প্রেসিডেন্ট সিসির পাশেই আছি।'
ফ্রান্স
২০১৭ সালে ব্রাসেলসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। ২০১৭ সালের জুলাইতে ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় বলেন, 'ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র একসাথে। আমাদের বন্ধুত্ব সবসময় অটুট থাকবে।'
তবে ২০১৯ সালে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কর আরোপ করায় মাখোঁকে 'নির্বোধ' বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ফরাসী ওয়াইনের ওপর নতুন কর আরোপ করারও ঘোষনা দেন তিনি। এনিয়ে টুইটারে বলেন, 'আমি সবসময়-ই বলে এসেছি ফরাসি ওয়াইনের চেয়ে আমেরিকান ওয়াইন ভালো।'
জার্মানি
জার্মানি ও জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল-কে নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম মন্তব্য করছেন ট্রাম্প। জার্মানি পুরোপুরি রাশিয়া কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এমন অভিযোগও করেন তিনি। ২০১৮ সালে একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,
'জার্মানির সাথে আমাদের বেশ ভালো সম্পর্ক আছে, আসলে আমাদের সম্পর্ক শুরু থেকেই ভালো ছিল। তবে অনেকেই এটি বুঝতে পারেননি। আমরা এখন বুঝতে পারছি এটিই বড় কথা।'
ভারত
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সবসময়ই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। এবছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফর করেন ট্রাম্প। ভারত সফরের সময় ট্রাম্প বলেন, ' আমি ও ফার্স্টলেডি ৮০০০ মাইল দূরে এসেছি এদেশের জনগণকে জানাতে যে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে সবসময় ভারতের পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।'
ইরান
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে ট্রাম্প কখনো ইরানের সাথে আলোচনায় না বসলেও, বিভিন্ন সময়ে দেশটির ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন।
২০১৭ সালে ইসরায়েল সফরের সময় জানান, ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী না হতে পারে এজন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০১৯ সালে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানি মিলিশিয়া ঘাঁটিতে হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র। বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলার ঘটনায় ইরানকে দোষারোপ করে ট্রাম্প বলেন, 'এরজন্য ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে। এটি কোনো সতর্কবার্তা নয়, হুমকি।'
ইসরায়েল
২০১৯ সালে ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় ইসরায়েল সম্পর্কে বলেন, '(জেরুজালেমে) মার্কিন দূতাবাস ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের প্রতীক এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষা ও সত্যের পাশে দাঁড়ানোর গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়।'
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
জাপান
ট্রাম্পের শাসনামলে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সাথে ট্রাম্পের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এবছরের আগস্টে শিনজো আবে পদত্যাগ করার পর ট্রাম্প এসম্পর্কে বলেন, 'তিনি শীঘ্রই জাপানের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরিচিতি পাবেন।'
পাকিস্তান
যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে বেশ কিছু বছর ধরেই বৈরিতা বিদ্যমান। ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর দেশ দুটির সম্পর্কে আরও ভাটা পড়ে। ২০১৮ সালে পাকিস্তান সম্পর্কে ট্রাম্পের টুইট বার্তা-
'গত ১৫ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। আমাদের নেতাদের নির্বোধ ধরে নিয়ে বিনিময়ে পাকিস্তান আমাদের সাথে শুধু প্রতারণাই করেছে।'
ফিলিস্তিন
২০১৭ সালে হোয়াইট হাউজে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প। পরবর্তীতে মাহমুদ আব্বাসের সাক্ষাৎকালে ট্রাম্প জানান, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপই নিবেন তিনি।
সাম্প্রতিক 'আব্রাহাম চুক্তির' (আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তি) ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা এব্যাপারে ফিলিস্তিনের সাথে আলোচনা করছি। সঠিক সময়ে তারাও এতে যোগ দিবে।
গত সেপ্টেম্বরে তিনি হোয়াইট হাউজের এক বক্তৃতায় বলেন, 'আমরা প্রতিবছর ফিলিস্তিনকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য দিচ্ছি। বিনিময়ে তারা কখনোই আমাদের সাথে ভালো আচরণ করেনি।'
রাশিয়া
ইতোপূর্বে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টই রাশিয়ার সাথে ট্রাম্পের মতো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেননি। ট্রাম্প রাশিয়ার ব্যাপারেই সবচেয়ে বেশি টুইট বার্তা দিয়েছেন। বিভিন্ন সময় তিনি রাশিয়ার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের আশা প্রকাশ করেন। রাশিয়ার ব্যাপারে ট্রাম্পের টুইটার বার্তা-
'রাশিয়ার প্রেসিদেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ফোনে কথা হয়েছে। ভবিষ্যতে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের সমূহ সম্ভাবনা আছে।'
সৌদি আরব
সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় আছে ট্রাম্পের শাসনামলেও। তুরস্কে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকান্ডের ঘটনায় সৌদিকে দোষারোপ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। ট্রাম্প এঘটনায় নিন্দা জানালেও পরবর্তীতে বাদশাহ সালমানের সাথে কথা বলার পর জানান, যে কেউ এই হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে।
সিরিয়া
সিরিয়ার ব্যাপারে ট্রাম্পের টুইটার বার্তা-
'সিরিয়ায় আমি যা করেছি, আমার বদলে অন্য কেউ হলে তাকে জাতীয় বীর ঘোষণা দেয়া হতো।'
সংযুক্ত আরব আমিরাত
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের মধ্যকার 'আব্রাহাম চুক্তি' স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প বলেন, 'কয়েক দশকের বিদ্বেষ ও বৈরিতার পর অবশেষে মধ্যপ্রাচ্যের নতুন সূর্য উদয় হতে যাচ্ছে।'