রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারকে সমর্থন দিলো জাপান
রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমাগত নিন্দার মুখে থাকা মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র জাপান।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির সঙ্গে সাক্ষাতের পর দেশটিতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তার সরকার বিশ্বাস করে মিয়ানমারে কোনো গণহত্যা হয়নি।
সাক্ষাতে তিনি আশা প্রকাশ করেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গাম্বিয়ার আবেদন জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত নাকচ করে দেবে।
এ খবর প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য ইরাবতি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতের মামলার পর জাপানই প্রথম দেশ যারা এ বিষয়ে মিয়ানমারকে নিজেদের সমর্থনের কথা জানালো।
গত বৃহস্পতিবারের ওই সাক্ষাতকারে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইছিরো মারুয়ামা মিয়ানমারের নেত্রী সুচিকে বলেন, “আমি মনে করি না, মিয়ানমার সেনাবাহিনী সেখানে গণহত্যা চালিয়েছে অথবা তাদের গণহত্যার উদ্দেশ্যে ছিল। রাখাইনের সব মুসলিম বাসিন্দাদের হত্যার উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও আমি মনে করি না।”
তিনি বলেন, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরশা) পুলিশ পোস্টগুলোতে ধারবাহিক হামলা চালানোর প্রেক্ষিতেই সেনাবাহিনী ব্যবস্থা নেয়।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জাতিগত নিধন শুরু করলে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এরপর মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চুক্তি এবং বিভিন্ন সময় আশ্বাস দিলেও তা শুরু করেনি। এরমধ্যেই মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।
জাতিসংঘের একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, মিয়ানমারে এখনও রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতন চলছে।