সামরিক বাহিনী দিয়ে বিক্ষোভ দমনের হুমকি দিলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক হত্যার প্রতিবাদে চলমান আন্দোলন যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই একে দমনে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গতকাল সোমবার (বাংলাদেশ আজ মঙ্গলবার) নিজেকে একজন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাকারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন সকল সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে চলমান সহিংস বিক্ষোভ দমনের নির্দেশ দেবেন।
এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে দেশজুড়ে চলমান দাঙ্গা ও লুটপাটের সমাপ্তি টানার হুমকিও দিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি।
গতকাল হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেন প্রাঙ্গণ থেকে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে ট্রাম্প নিজের কঠোর অবস্থানের কথা জানান। এসময় তিনি নানা রাজ্যের প্রশাসক এবং নগরপালদের প্রতি জোরশক্তি প্রয়োগ করে বিক্ষোভ অবসানের নির্দেশ দেন। খবর পলিটিকো ও এবিসির।
এসময় ট্রাম্প বলেন, আমি ভারি অস্ত্রসজ্জিত হাজার হাজার পুলিশ, সেনা ও সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মোতায়েন হওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। দাঙ্গা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, দলদদ্ধভাবে কোন ব্যক্তিকে আক্রমণ বন্ধ করা এবং সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তির সুরক্ষায় তাদের মোতায়েন করা হচ্ছে। আমরা এবার এই অরাজকতার ইতি টানতে চলেছি।
চলমান আন্দোলন পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত অনমনীয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নির্দেশ অমান্য করলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সামরিক বাহিনী পাঠিয়ে তিনি এই ধরনের বিদ্রোহ দমন করবেন বলেও হুমকি দেন।
ট্রাম্পের মতে, সেনাশক্তি ব্যবহার করলে খুব সহজেই বর্তমান পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। জনপদ ও শহর মুক্ত হবে সামাজিক গোলযোগের রাহুগ্রাস থেকে।
শুরু থেকেই বর্ণবাদী বিক্ষোভের বিরোধী ট্রাম্প এর আগে বিক্ষোভকারীদের 'সন্ত্রাসী' আখ্যা দিয়েছিলেন।
এদিকে ট্রাম্পের বক্তৃতার আগেই বেশ কয়েক ট্রাক ভর্তি জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষী (ন্যাশনাল গার্ড) বাহিনীর সদস্যরা হোয়াইট হাউজের নিকটবর্তী লাফায়েট্টে পার্ক এলাকায় অবস্থান নেয়। শুক্রবার রাতে এখানেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে বিক্ষোভকারীদের।
এসময় ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউজের মাটির তলায় সুরক্ষিত বাঙ্কারে সরিয়ে নেন, তার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণার কিছুক্ষণ পড়েই যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে চলমান বিক্ষোভের সময় দুই ব্যক্তির মৃত্যুর খবর জানা গেছে। পুলিশের সাথে লুটপাটকারিদের সংঘর্ষে তারা নিহত হন, বলেই স্থানীয় গণমাধ্যম দাবি করছে। এসব লুটপাটের অভিযোগে আরও ৬০ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।