সিরিয়া-ইরাক থেকে মার্কিনীদের বিতাড়িত করা হবে: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন্, সিরিয়া ও ইরাক থেকে থেকে মার্কিন সেনাদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে। গতকাল রোববার দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেছেন।
এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার দাবিকে আবারও নতুন করে তুলে ধরলেন।
চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে এক মনুষ্যবিহীন বিমান (ড্রোন) থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে ইরানের সামরিক বাহিনীর অভিজাত কুদস ব্রিগেডের কম্যান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র।
এরপরই পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। সে সময় দুই দেশের মাঝে চূড়ান্ত সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। খবর রয়টার্সের।
ওই সকল ঘটনার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন আধিপত্যকে আরও প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করে আসছে ইরান। গতকাল সেই সুরই প্রতিধ্বনিত হয়েছে খামেনির কণ্ঠে।
এসময় তিনি বলেন, 'আমেরিকানরা সিরিয়া, ইরাক ও আফগানিস্তানে যা করছে, তা স্থানীয় জনগণের কাছে তাদের ঘৃণার পাত্রে পরিণত করেছে। তারা এসব দেশে চিরকাল অবস্থান করতে পারবে না। এবং অচিরেই তাদের বিতাড়িত হতে হবে।'
গতকাল ইরানের ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে দেওয়া তার এক ভাষণের অনুলিপি খামেনির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। সেখানেই তিনি এমন কথা বলেছেন।
এদিকে পারস্য উপসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে চ্যালেঞ্জ করা- ইরানি নৌবাহিনীর জাহাজ লক্ষ্য করে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে গত মাসে জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরবর্তীতে অবশ্য নৌবাহিনীর যুদ্ধ শুরুর নীতিতে পরিবর্তন আনার কোনো ইচ্ছে তার নেই, বলেও জানান।
ট্রাম্পের বক্তব্যের পরেই ইরানের বিপ্লবী রক্ষীদলের প্রধান মেজর জেনারেল হোসাইন সালামি বলেন, পারস্য উপসাগরে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে দেশটি মার্কিন রণতরীগুলোকে ধ্বংস করে দেবে।