সেপ্টেম্বরে চাকরি ছেড়েছেন রেকর্ড সংখ্যক মার্কিন নাগরিক
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে চাকরি ছেড়েছেন ৪৪ লাখ মার্কিন নাগরিক। করোনার অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলে ওঠার এই মুহুর্তে ভালো বেতনের আশায়, নতুন কাজের সন্ধানে পুরনো কাজ ছেড়েছেন তারা।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি আমেরিকার শ্রমবাজারে মৌলিক পরিবর্তন আনতে চলেছে।
আরএসএম ইউএস-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ জোসেফ ব্রুসুলাস বলেন, "শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির চেয়ে কম টাকা দেওয়ার যুগের অবসান হয়েছে। বর্ধিত মজুরি এখন ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ হতে চলেছে।"
শুক্রবার শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিক ঘাটতি ছিল ১০.৬ মিলিয়ন। তবে সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ১০.৪ মিলিয়নে, যা আগস্টের তুলনায় কিছুটা কম।
স্বাস্থ্যসেবা খাতে ও স্থানীয় সরকার প্রশাসনে চাকরির সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইন্ডিড হায়ারিং ল্যাবের অর্থনৈতিক গবেষণা বিভাগের পরিচালক নিক বাংকার বলেন, "সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদন অনুযায়ী করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এখনও দৃশ্যমান। তবে, আমরা অক্টোবরের চাকরির পরিসংখ্যান প্রতিবেদন থেকে জানতে পেরেছি, এর মাঝেও শ্রমবাজার আরো স্থিতিশীল হয়েছে।"
বিশ্লেষকদের মতে, ভালো বেতনের চাকরির আশায় অনেক মানুষ বর্তমান চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেও, অনেক খাতেই বেড়েছে কাজ করার সুযোগ। তুলনামূলকভাবে কম মজুরি দেওয়া হয় এমন খাতেই চাকরিতে ইস্তফা দেওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে।
শিল্পকলা, বিনোদন ও সৃজনশীল খাতে চাকরি ছাড়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এরপরে রয়েছে, অন্যান্য পরিষেবা খাত।
নিয়োগকর্তারা বিভিন্ন খাতে নিয়োগ দিয়েছেন সাড়ে ৬ মিলিয়ন কর্মী। এর বিপরীতে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়েছেন অন্তত ৬.২ মিলিয়ন মানুষ। বড় পরিসরে তুলনা করতে গেলে এটি যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারের সংকটকে কিছু কমিয়েছে।
মহামারি আঘাত হানার আগে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির ঘাটতি রয়েছে ৪.৭ মিলিয়ন। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংকটে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে কর্মসংস্থান সৃষ্টির গতি কম থাকলেও, অক্টোবর নাগাদ তা আবারও বেড়েছে। গত সপ্তাহের চাকরির পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
সূত্র: সিএনএন