সেরামের কোভিশিল্ড গ্রহণকারীদের ইউরোপ ভ্রমণে জটিলতার শঙ্কা
ভারতে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাগ্রহণকারীদের ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভ্রমণের 'গ্রিন পাস' পাওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।
ভারতে সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ায় উৎপাদিত হচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। ভারত ছাড়াও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে দেওয়া হয়েছে কোভিশিল্ডের এই টিকা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিশিল্ডের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিলেও এখন পর্যন্ত তা ইউরোপের চিকিৎসা বিষয়ক সর্বোচ্চ সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) কর্তৃক অনুমোদন লাভ করেনি।
ইএমএ এখন পর্যন্ত ফাইজার, মডার্না, ভ্যাক্সজেভরিয়া (অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা) এবং জ্যানসেন (জনসন অ্যান্ড জনসন) এই চারটি ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের ভ্রমণ অনুমোদন প্রদান করেছে।
সেরাম ইন্সটিটিউট অ্যাস্ট্রেজেনেকার লাখ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদন করেছে। বিভিন্ন দেশে তা কোভিশিল্ড নামে রপ্তানি করা হয়েছে।
ভারতের শীর্ষ ভাইরোলজিস্ট শাহিদ জামিল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাক্সজেভরিয়া এবং কোভিশিল্ড ভিন্ন প্রস্তুতকারী কর্তৃক উৎপাদিত হলেও মানের দিক থেকে তারা একই ধরনের।
কোভিশিল্ড গ্রহণকারীদের ভ্রমণ বিষয়ক জটিলতা নিয়ে সেরামের শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা জানান, তিনি বিষয়টিকে 'সর্বোচ্চ মহল' পর্যন্ত নিয়ে গেছেন।
এক টুইট বার্তায় পুনাওয়ালা বলেন, "আমি বুঝতে পারছি যে কোভিশিল্ড গ্রহণকারী ভারতীয় নাগরিকরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভ্রমণের ক্ষেত্রে জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন। আমি বিষয়টি সর্বোচ্চ মহল পর্যন্ত তুলেছি এবং আশা করছি দ্রুত বিষয়টি নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ে উভয় ক্ষেত্রেই সমাধান মিলবে।"
দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে যে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই বিষয়টি ইএমএর কাছে তুলে ধরেছে।
আগামী ১ জুলাই থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট হিসেবে ডিজিটাল "গ্রিন পাস" কার্যকর হবে। মহামারির সময় ইউরোপ ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোভিড নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কোনো ব্যক্তির টিকা গ্রহণ, কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠার প্রমাণ কিংবা কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফলের প্রমাণস্বরূপ ব্যবহৃত হবে এই "গ্রিন পাস"।
ভারতে বর্তমানে সেরামের কোভিশিল্ড এবং স্থানীয় ভারত বায়োটেক উৎপাদিত কোভ্যাক্সিন টিকা প্রদান করা হচ্ছে। কোভ্যাক্সিন এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিংবা ইএমএ কোথাও অনুমোদন লাভ করেনি।
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউকে