হায়দরাবাদে গণধর্ষণের পর হত্যা: অভিযুক্ত ৪ জনই পুলিশের গুলিতে নিহত
ভারতের হায়দরাবাদের তেলেঙ্গানায় এক তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজন শুক্রবার ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হায়দরাবাদ পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভোররাত ৩টার দিকে তদন্তের উদ্দেশে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই এলাকা থেকেই এক সপ্তাহ আগে উদ্ধার করা হয়েছিল তরুণীর দগ্ধ লাশ।
সেখানে গ্রেপ্তাররা অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি চালায় এবং তাতে চারজন নিহত হয় বলে পুলিশ কমিশনার ভি সি সাজানারের ভাষ্য।
গত ২৮ নভেম্বর রাতে ঘটেছিল সেই মর্মান্তিক ঘটনা। হায়দরাবাদের কাছে ২৭ বছর বয়সী এক তরুণী চিকিৎসককে টুল-বুথের কাছে স্কুটার রেখে যেতে দেখে ওই চার অভিযুক্ত ব্যক্তি। পেশায় তারা ছিল ট্রাকচালক ও খালাসি। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে স্কুটারের টায়ার পাংচার করে তার ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। মেয়েটি ফিরে আসার পর ওই চারজন তাকে সাহায্য করার ভান দেখিয়ে এগিয়ে আসে, আর তারপরেই ঘটে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।
প্রথমে চারজনে মিলে ধর্ষণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে দেয় ওই পশু চিকিৎসককে। পরে ওই চিকিৎসকের পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হলে তেলেঙ্গানা জুড়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়।