হিউস্টনে চীনের দূতাবাস বন্ধ, উহানে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করতে পারে চীন
যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন শহরে চীনের কনস্যুলেট বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত চীন পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির মধ্যে চলমান কূটনৈতিক বিরোধ এ ঘটনায় নতুন তীব্রতা লাভ করলো।
আজ বুধবার (২২ জুলাই) বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েবিন জানান, ''যুক্তরাষ্ট্র দেশটির চতুর্থ জনবহুল শহর হিউস্টনে অবস্থিত কনস্যুলেট (উপ-দূতাবাস) বন্ধে আমাদের তিনদিন সময় বেঁধে দিয়েছে। এটা নজিরবিহীন পদক্ষেপ। ট্রাম্প প্রশাসন মারাত্মক এ ভুল সংশোধন করার উদ্যোগ না নিলে- চীন এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।''
চীনের বিবৃতির পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর হিউস্টনে কনস্যুলেট বন্ধের বিষয়টি এক পর্যায়ে স্বীকার করে এক বিবৃতি দেয়। খবর ব্লুমবার্গের।
''মার্কিন মেধাসত্ত্ব সম্পদ এবং নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায়'' এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয় সেখানে।
বিবৃতিটি আরও জানায়, ''আন্তর্জাতিক আইনের স্বীকৃত চুক্তি অনুসারে বিদেশি কূটনীতিবিদদের তারা যে দেশে অবস্থান করছেন, তার আইনকানুন মেনে চলা উচিৎ। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক গলানো মোটেই উচিৎ নয় তাদের। কিন্তু, হিউস্টনের চীনা কূটনীতিবিদরা এসব শর্ত লঙ্ঘন করেছেন। তাই যুক্তরাষ্ট্র সরকার কনস্যুলেটটি বন্ধের আদেশ দিয়েছে''
গত মঙ্গলবার চীনের হিউস্টন কনস্যুলেটের সামনে স্থানীয় পুলিশ এবং দমকল কর্মীরা ছুটে আসেন। ওই সময়, দূতাবাসের প্রাঙ্গণে খোলা কন্টেইনারে অনেক নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলা হয় বলে, জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম হিউস্টন ক্রনিকল। স্থানীয় পুলিশের বরাতে দৈনিকটির প্রকাশিত সংবাদে জানানো হয়, সেসময় বেশ কিছু কন্টেইনারে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছিল। আগুনের ধোঁয়া আকাশের দিকে কুণ্ডলী পাকিয়ে উড়তে দেখা গেছে।
চলমান উত্তেজনার মধ্যেই পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে উহানে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধ করার কথা ভাবছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এনিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও, সংশ্লিষ্ট এক সূত্রের বরাতে বিষয়টি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য যোগাযোগ করে বার্তা সংস্থাটি। তবে সেখানকার কর্মকর্তারা এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।