১২ বছরের উপরে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, বলছে হু
বয়স্কদের মতোই এখন থেকে ১২ এবং তার চেয়ে বেশি বয়সের শিশুদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারির বিস্তার রুখতে যা সহায়ক হবে, বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-হু। অন্যদিকে, ৬ থেকে ১১ বছরের শিশুদের জন্য নিয়মটি কিছুটা শিথিল। তবে ঝুঁকি এবং পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় তাদের জন্যও মাস্ক ব্যবহার করাটা দরকারি।
১২ বছর এবং তার বেশি বয়সীদের যেসব স্থানে সংক্রমণের মাত্রা বেশি এবং আশেপাশের লোকজন থেকে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়, সেখানে মাস্ক পরা অপরিহার্য। হু এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) গত শুক্রবার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নথিতে একথা জানিয়েছে।
নথিতে প্রকাশ, ছয় থেকে ১১ বছরের শিশুরা মাস্ক পরবে কিনা তা একাধিক বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। কোন এলাকায় সংক্রমণের তীব্রতা কতটুকু বেশি, মাস্ক ব্যবহারে শিশুটি সক্ষম কিনা, শিশুর জন্য কার্যকর মাস্কের সরবরাহ, বড়দের নজরদারি ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করবে শিশুদের মাস্ক ব্যবহার। খবর রয়টার্সের।
এছাড়া, সংস্থা দুটি জানায়; ঝুঁকি মোকাবিলায় শিশুকে দেওয়া শিক্ষা, তার মনস্তাত্ত্বিক-সামাজিক বিকাশ এবং সংক্রমণের অধিক ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সঙ্গে শিশুর সংস্পর্শে আসার ঝুঁকিও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। অর্থাৎ, দায়িত্বশীল অভিভাবকদের জন্য সব বয়সী শিশুর জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে, পাঁচ বা তার কম বয়সী শিশুদের মাস্ক পরাটা আবশ্যক নয়। তবে উচ্চ ঝুঁকি থাকলে সেক্ষেত্রে তারা মাস্ক ব্যবহার করবে। এর বাইরে মাস্ক ব্যবহারে শিশুর আগ্রহ আছে কিনা সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে অভিভাবকদের। নইলে তার মানসিক বা শারীরিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক চাপ বা ভীতি সৃষ্টি হতে পারে।
সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো ইঙ্গিত দেয়, ১২ বা তদূর্ধ্ব বয়সী শিশুরা সংক্রমণ ছড়াতে সক্রিয় ভূমিকা রাখে। ১১ বা তার কম বয়সী ছোট ছোট শিশুদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি খুবই কম। তবে জাতিসংঘের হু এবং ইউনিসেফ জানিয়েছে, মহামারিতে শিশু এবং অপ্রাপ্তবয়স্করা সংক্রমণ ছড়াতে কী ভূমিকা রাখছে, তার স্বরূপ জানতে এখনও অনেক তথ্য অজানা রয়ে গেছে। আগামীদিনের গবেষণায় ধীরে ধীরে বিষয়গুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
এর আগে গত ৫ জুন জন-সংস্পর্শে আসার কালে কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে বিশ্ববাসীকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছিল হু। কিন্তু, এসময় শিশুদের জন্য মাস্ক ব্যবহারের নির্দিষ্ট কোনো গাইডলাইন ঘোষণা করা হয়নি। গত শুক্রবার সেই নির্দেশনাই দেওয়া হয়েছে।