‘বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষণ গুনছেন’ মেলানিয়া, ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছাড়লেই ১৫ বছরের ‘চুক্তিভিত্তিক বিয়ে’ শেষ!
নির্বাচনে হেরেছেন, এবার কি স্ত্রীকেও হারাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? বলা হয়ে থাকে, ২০১৬ সালের নির্বাচনে স্বামীর বিজয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে নিজের এক বন্ধুকে মেলানিয়া বলেছিলেন, তিনি কখনো ভাবতেই পারেননি ট্রাম্প জিতবেন।
নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে পাড়ি জমাতে ৫ মাস অপেক্ষা করেছিলেন মেলানিয়া ট্রাম্প, যেন এই দম্পতির পুত্র ব্যারনের স্কুলের পাঠ শেষ করা যায়।
তবে সাবেক সহকারী স্টেফানি ওলকফের দাবি, সে সময়ে আসলে ট্রাম্পের সম্পত্তিতে ব্যারনের সমানাধিকার নিশ্চিত করতে একটি বিবাহোত্তর চুক্তির দরকষাকষি করছিলেন মেলানিয়া।
মিসেস ওলকফের অভিযোগ, হোয়াইট হাউসে আলাদা শয়নকক্ষ ছিল ট্রাম্প ও মেলানিয়ার; শুধু তাই নয়, তাদের সম্পর্কটি 'চুক্তিভিত্তিক বিয়ের'!
এদিকে, সাবেক সহকারী ওমারোসা ম্যানিগল্ট নিউম্যানের দাবি, এই দম্পতির ১৫ বছরের বৈবাহিক সময়কাল শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, 'ট্রাম্প কখন অফিস (হোয়াইট হাউস) ছাড়বেন এবং তারপর তাকে ডিভোর্স দিতে পারবেন, সেই অপেক্ষায় প্রতিটি ক্ষণ গুনছেন মেলানিয়া।'
'ট্রাম্প অফিসে থাকাকালেই মেলানিয়া যদি তাকে ছেড়ে যাওয়ার ও চূড়ান্ত অপদস্তের চেষ্টা করেন, তাহলেই মেলানিয়াকে শাস্তি দেওয়ার উপায় খুঁজে পাবেন প্রেসিডেন্ট,' বলেন ওমারোসা।
জনসমক্ষে হিমশীতল প্রচুর মুহূর্ত থাকা সত্ত্বেও ৫০ বয়সী মিসেস ট্রাম্পের দাবি, ৭৪ বছর বয়সী স্বামীর সঙ্গে 'দারুণ এক সম্পর্ক' রয়েছে তার। অন্যদিকে, একই সুরে ট্রাম্পের জোর দাবি, তারা নাকি কোনোদিনও ঝগড়া করেননি।
প্রাক-বৈবাহিক চুক্তির কারণে ট্রাম্পের সমালোচনা করে কোনো বই প্রকাশ কিংবা সাক্ষাৎকার দেওয়ার অধিকার হারিয়েছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী মার্লা ম্যাপলস।
আইনজীবী ক্রিস্টিনা প্রিভাইটের ধারণা, সম্ভবত একই ধরনের কোনো চুক্তির কারণেই মুখ বন্ধ রাখেন মেলানিয়া।
- সূত্র: ডেইলি মেইল