‘৯৫ শতাংশ কোভিড রোগীকে সুরক্ষা দেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা’
ফাইজার এবং মডের্নার তৈরি কোভিড-১৯ প্রতিষেধকের মতোই ৯৫ শতাংশ রোগীকে সংক্রমণ সুরক্ষিত রাখবে ব্রিটিশ-সুইস সংস্থা আস্ট্রজেনেকার তৈরি টিকা। এমন দাবিই করেছেন কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী প্যাসকেল সোরিয়ট। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সানডে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, 'সবার মধ্যেই যেন টিকাটির ফলপ্রসূ হয় সেজন্য তাদের গবেষকরা একটি যুগান্তকারী ফর্মুলা আবিষ্কার করেছেন।'
সাম্প্রতিক এসব দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে এপর্যন্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি কোম্পানিটি। এর আগে গত মাসে প্রকাশিত মধ্যবর্তী ফলাফলে ৭০ শতাংশ কার্যকারিতার সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। দুই পরিমাপে টিকার ডোজ দেওয়ার পদ্ধতির সফলতা গড় করে সেই অনুসারে এ সফলতা হার সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়।
এরমধ্যে প্রথম পরিমাপ পদ্ধতিতে প্রথমে অর্ধেক ডোজ এবং পরে সম্পূর্ণ এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়। এতে ৯০ শতাংশ সফলতা পাওয়া যায়। অন্য পদ্ধতি সেই তুলনায় বেশি কার্যকর হয়নি। ফাইজার ও মডের্না ইঙ্কের টিকা অবশ্য অত্যন্ত সন্তোষজনক ৯৪.৫ শতাংশ সফলতা পায়।
চলতি সপ্তাহেই ব্রিটিশ নিয়ামক সংস্থা টিকাটি যুক্তরাজ্যে জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন দিতে পারে। তার আগে সোরিয়ট আশা প্রকাশ করেন, তাদের টিকাটি করোনাভাইরাসের অভিযোজিত নতুনতম ধরনটির বিরুদ্ধেও কার্যকর হতে পারে। গত সেপ্টেম্বরে ৭০গুণ বেশি সংক্রামক নতুন ধরনটি প্রথম সন্ধান মেলে লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যলয়ের সঙ্গে যৌথভাবে টিকাটি তৈরি করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। পুনেভিত্তিক সেরাম ইনস্টিটিউড এর শত কোটি ডোজ ভারত এবং অন্যান্য মধ্য ও স্বল্প আয়ের দেশে সরবরাহের লক্ষ্যে উৎপাদনের লাইসেন্স নিয়েছে। ভারত সরকারও এটিসহ আরও দুটি প্রতিষেধক জরুরি অনুমোদনের ব্যাপারে অচিরেই সিদ্ধান্ত নেবে।
বিবেচনাধীন অন্যদুটির একটি হলো ফাইজার/বায়োএনটেকের তৈরি। কোভাক্সিন নামে অন্যটির উদ্ভাবক স্থানীয় সংস্থা ভারত-বায়োটেক। এরমধ্যে ফাইজারের টিকা যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশকিছু ইউরোপীয় দেশে জরুরি প্রয়োগ চলছে।
অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বাংলাদেশে বাজারজাতকরণে চুক্তি করেছে বেক্সিমকো ফার্মা। দাবি অনুযায়ী টিকাটি সত্যিই এত বেশি সফল হলে, তা হবে খুবই ইতিবাচক।
এর আগে গত শনিবার ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সূত্রে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, দেশটির ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালকের দপ্তর অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন ব্রিটিশ নিয়ামক সংস্থার অনুমোদন দেওয়ার অপেক্ষা করছেন। অর্থাৎ, যুক্তরাজ্যে সবুজ সংকেত মিললে ভারতেও স্বীকৃতি পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।