পাঁচ দিনের যাত্রা শেষে কিয়েভ থেকে হাঙ্গেরিতে পৌঁছল রাশিয়ান-ইউক্রেনিয়ান যুগল
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর লাখ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছাড়ার চেষ্টা করছে মরিয়া হয়ে। লোকজন পালাচ্ছে রাজধানী কিয়েভ ছেড়েও।
কিয়েভ ছেড়ে হাঙ্গেরির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন রাশিয়ান সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মিখাইল লুইব্লিন ও তার ইউক্রেনিয়ান প্রেমিকা। রওনা দেওয়ার পাঁচ দিন পর হাঙ্গেরিতে পৌঁছেন তারা।
মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণের আওয়াজ শুনতে শুনতে পালিয়েছেন লুইব্লিন ও তার প্রেমিকা। একসময় তো মনে হচ্ছিল, কখনও হাঙ্গেরিতেই পৌঁছতেই পারবেন না।
জাহোনি সীমান্ত থেকে বুদাপেস্টের ট্রেনে ওঠার জন্য টিকিট কেনার লাইনে দাঁড়িয়ে আনন্দে পরস্পরকে চুমু খান এই যুগল।
লিউব্লিন রয়টার্সকে জানান, তিনি রাশিয়ান। প্রায় এক বছর ধরে ইউক্রেনে থাকছেন তিনি।
রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'এটা পাগলামি। এর জন্য বহু, বহু বছর রাশিয়াকে খেসারত দিতে হবে। আর পুতিনের শাস্তি হওয়া উচিত।'
গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ করার জন্য 'বিশেষ সামরিক অভিযান' পরিচালনার নির্দেশ দেন পুতিন। তার দাবি, ইউক্রেনকে 'নাৎসিমুক্ত' করার জন্য এ অভিযান চালিয়েছেন।
লিউব্লিন বলেন, অবশেষে হাঙ্গেরিতে পৌঁছার দীর্ঘ যাত্রা শেষ করে যে হাঙ্গেরিতে পৌঁছতে পেরেছেন, তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য লাগছে তার আর তার প্রেমিকার কাছে।
এই প্রকৌশলী বলেন, ইউক্রেন অবিচল থাকবে। সত্যের জয় হবে।
এর একটু পরই হাঙ্গেরির রাজধানীগামী ট্রেনে চেপে বসেন এই রাশিয়ান-ইউক্রেনিয়ান যুগল। মনে স্বস্তি, আপাতত মুক্তি মিলেছে যুদ্ধের কবল থেকে।
সূত্র: রয়টার্স