ইউক্রেন আগ্রাসনে রাশিয়াকে সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
চীন ইতোমধ্যে ইউক্রেন আগ্রাসনে রাশিয়াকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান ও চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ইয়াং জিচির রোমে অনুষ্ঠিত ৭ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর এ তথ্য দিয়েছেন মার্কিন এক কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, "এখানে মূল বিষয়টি হল, প্রথমেই চীনকে তাদের অবস্থান পুনর্মূল্যায়নে উদ্বুদ্ধ করা। কিন্তু আমরা চীনের কাছ থেকে সেই পুনর্মূল্যায়নের কোনো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না।"
"তারা ইতোমধ্যেই অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছে এবং আজ তারা বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। তবে প্রশ্ন হল, তারা আরও এগিয়ে যাবে কিনা", যোগ করেন তিনি।
এদিকে গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে জড়িত মার্কিন কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, চীন রাশিয়াকে সহায়তা দিতে চায় কিনা তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে রোমে সাত ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এক শীর্ষ সহযোগী রাশিয়াকে সহায়তা করার 'সম্ভাব্য প্রভাব ও পরিণতি' সম্পর্কে চীনকে সতর্ক করেছেন।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। আর এরমধ্যে চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে মস্কো ও বেইজিংয়ের মাঝে সহায়তার আভাস মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে।
গেল মাসের ২৪ তারিখ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করতে সেদেশে 'বিশেষ সামরিক অভিযান' শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইইউভুক্ত (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) বেশ কয়েকটি দেশ এ নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পাশপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তাও দিচ্ছে। এরমাঝে রাশিয়ার পক্ষে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতি চীনের সমর্থন চলমান যুদ্ধকে আরও দীর্ঘায়িত করবে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
- সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, সিএনএন