এই শীত ও সামনের গ্রীষ্ম রাশিয়ান গ্যাস ছাড়াই পার করতে পারবে ইউরোপ
রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিলেও আগামী শীতের শেষ আর পরের গ্রীষ্মের শুরু পর্যন্ত চলার মতো গ্যাসের মজুদ আছে। চাহিদায় টান পড়া ছাড়াই ইউরোপে সরবরাহ বিঘ্ন ঘটবে না বলে জানিয়েছে কেমিক্যাল, এনার্জি, মেটাল ও মাইনিং রিসার্চ কোম্পানি উড ম্যাকেনজি।
উডম্যাকের তথ্যানুযায়ী, ইউরোপিয়ান গ্যাসের মজুদ ৫ বছর চলার মতো মাত্রায় পৌঁছাতে পারে এ বছর, নরওয়ে থেকে গ্যাস রপ্তানি হওয়ার কথাও রয়েছে।
রাশিয়ার সরবরাহ বজায় থাকলে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) আর যুক্তরাজ্যের এ বছর শেষে ২৭ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাসের মজুদ থাকবে যা পাঁচ বছর চলার কথা।
যদিও রাশিয়ার বিরুদ্ধে জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞায় জ্বালানি পণ্য রপ্তানিতে বাধা নেই, নিজেদের উপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব দিতে রপ্তানি বন্ধ করে দিতে পারে মস্কো এমন আশঙ্কা আছে।
"মার্চের মাঝামাঝি সময়ে যদি রাশিয়ান সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, চাহিদায় টান পড়া ছাড়াই এই শীত আর পরবর্তী গ্রীষ্ম পর্যন্ত চলতে পারবে ইউরোপ," বলেন উড ম্যাকেনজির ইউরোপ গ্যাস ও এনএনজি টিমের প্রধান বিশ্লেষক ক্যাটেরিনা ফিলিপেনকো।
উডম্যাকের ফিলিপেনকো বলছেন, রাশিয়ার সরবরাহ করা গ্যাস ছাড়া ইউরোপ এ সময়টুকু সহজেই পার করতে পারলেও ২০২২-২৩ এর শীতে কিছু ক্ষেত্রে সরবরাহ সংকট দেখা দেবেই।
নরওয়ে ও আলজেরিয়া থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি, এলএনজি আমদানি, কয়লার উৎপাদন ও ব্যবহার কমানো এবং পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে রক্ষণাবেক্ষণ জনিত কার্যক্রম বন্ধ রাখা পেছালে জ্বালানি খাতের জন্য গ্যাস থাকতে পারে। উড ম্যাকেনজির তথ্য বলছে, ২০২২ সালের অক্টোবর নপর্যন্ত থাকবে ১৩ বিলিয়ন কিউবিক মিটার।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে কেন্দ্র করে জ্বালানি নীতিতে পরিবর্তন আনছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। ২০৩০ সালের আগেই জীবাশ্ম জ্বালানির জন্য ইউরোপের রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমাতে গত সপ্তাহে এক পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান কমিশন। বিভিন্ন উৎস থেকে গ্যাস সরবরাহের চেষ্টা করবে ইইউ, পুনর্ব্যবহারযোগ্য গ্যাস ব্যবহার শুরুর কার্যক্রম বেগবান করবে। এর মাধ্যমে এ বছরের শেষের আগেই রাশিয়ার ওপর গ্যাস নির্ভরতা দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনতে পারবে বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান কমিশন। পাশাপাশি, ১ অক্টোবরের মধ্যে ইইউ'র গ্যাসের মজুদ অন্তত ৯০ শতাংশ পূর্ণ করার প্রস্তাব দেবে কমিশন।
সূত্র: ওয়েলপ্রাইজ.কম