পাক সেনাপ্রধানের সমালোচনা করায় ইমরানের দলের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের ৮ জন গ্রেপ্তার
পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) আট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার বিরুদ্ধে অপমানজনক ক্যাম্পেইন চালিয়েছেন তারা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনাবাহিনী প্রধান ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের টার্গেট করার অপরাধে মঙ্গলবার পাঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
অনাস্থা ভোটে হেরে গত ৮ মার্চ ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। এরপর থেকে জেনারেল বাজওয়ার বিরুদ্ধে পরিচালিত একটি ক্যাম্পেইন টুইটারের শীর্ষ ট্রেন্ডে রয়েছে।
এফআইএ'র ভাষ্যে, সেনাপ্রধান এবং দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন চালানোর সঙ্গে যুক্ত, এমন অন্তত ৫০ জনের নামের তালিকা তাদের হাতে দিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। এদের মধ্যে ৮ জনকে হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধনে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার অভিযোগে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারকের বিরুদ্ধে হাজার হাজার টুইট ভেসে বেড়াচ্ছে টুইটারে।
ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আসাদ ওমর এক টুইট বার্তায় বলেন, "পিটিআইয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীদের হেনস্থার বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন দায়ের করা হবে। বুধবারই উচ্চ আদালতে এই পিটিশন দেওয়া হবে।" এরই মধ্যে মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকে একটি নোটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যাম্পেইনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। 'সংবিধান ও আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখার জন্য বর্তমান নেতৃত্বের সুবিবেচিত অবস্থানের' প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে— জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে ৭৯তম ফরমেশন কমান্ডার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডার, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং সব ফরমেশন কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন চিফ অব আর্মি স্টাফ (সিওএএস) জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া।
আইএসপিআর এর বিবৃতিতে বলা হয়, "পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে অপমান করতে এবং রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠান ও সমাজের মধ্যে বিভাজন তৈরির উদ্দেশ্যে সম্প্রতি কয়েকটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিষয়টি ফোরামে আলোচনায় এসেছে। পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পবিত্র। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সর্বদা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং সবসময়ই পাহারায় থাকবে। এক্ষেত্রে কোনো আপস করবে না।"
সূত্র: এনডিটিভি