একটা মাছিও যেন বের হতে না পারে: মারিউপোল বিজয়ের পর আজভস্তাইল ঘেরাও নির্দেশ পুতিনের
মারিউপোলের শেষ প্রতিরোধ ঘাঁটি আজভস্তাইল ইস্পাত কারখানায় ঢোকার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
টেলিভিশনে প্রচারিত এক সভায় পুতিন বলেন কারখানার মধ্যে জঞ্জাল বেয়ে ভেতরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
এর পরিবর্তে তিনি পুরো শিল্প অঞ্চলটি ঘেরাওয়ের নির্দেশ দিয়েছেন যেন একটা মাছিও বের হতে না পারে।
পুতিন বলেন, বিশাল ওই শিল্পাঞ্চলে ঢুকে পড়া বাস্তবসম্মত কাজ হবে না। সেখানে দুই হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা রয়েছে। আজভস্তাইলে ঢুকলে রুশ সেনাদের জীবন বিপন্ন হতে পারে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
আজভস্তাইল ছাড়া বন্দর নগরী মারিউপোল দখলের দাবি করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু। বিষয়টির প্রশংসা করে মারিওপোলের এই 'মুক্তি'কে স্বাগত জানান পুতিন।
এদিকে ইউক্রেনীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইস্পাত কারখানায় এখনও কয়েক হাজার সেনা ও বেসামরিক নাগরিক আটকে রয়েছে।
সেখানকার পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মেয়রের একজন উপদেষ্টা। কারখানায় থাকা প্রায় দুই হাজারের মতো মানুষ খাবার, পানি বা অক্সিজেনের সরবরাহ পাচ্ছে না। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশুও রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বন্দরশহর মারিউপোলেই যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি। রুশ সেনারা শুরু থেকেই এই শহরের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। মারিউপোল সম্পূর্ণভাবে দখল করতে পারলে কৌশলগত দিক থেকে ইউক্রেনকে একেবারে কোণঠাসা করতে পারবে রাশিয়া। কারণ দেশটির পূর্বাঞ্চল রয়েছে মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে। ফলে দখল করতে পারলে সহজেই ওই শহরের সঙ্গে রুশ দখলে থাকা ক্রিমিয়া অঞ্চলকে সংযুক্ত করতে পারে মস্কো।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে রুশ দখলে রয়েছে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ।
- সূত্র: বিবিসি