বার্গম্যান, আমার বাবা: লিন উলমনের সঙ্গে আলাপ
লিন উলমনের বাবার বয়স যখন আশির ঘরে, নিজের জীবনের 'যবনিকা পর্বে'র অভিজ্ঞতা নিচ্ছেন- এমনটাই বলতেন ওই ভদ্রলোক। সারা সকাল বিছানায় শুয়ে থেকে, নিজের অসুস্থতাকে হয়তো বাড়িয়েই তুলতেন; আর নিজেকে ঠেলে দিতেন আরেকটি দশকের দিকে: যেন বয়স আট দশকের চেয়ে খানিকটা কম হলে তিনি তক্ষুণি গা ঝাড়া দিয়ে উঠে যেতেন; যেন বয়স আরেকটু বেশি হলে, নিশ্চুপ থাকাটাই শ্রেয় ধরে নিতেন।
তবে এইসব কৌশল তৃপ্তির বদলে বরং বাস্তবতাকে বোঝানোর করার জন্যই; আর কাজ চালিয়ে যাওয়ার যে সংকল্প তার, সেটি ব্যাপকভাবে অবিচলই রয়ে গিয়েছিল।
লিনের বাবা কিংবদন্তি সুইডিশ ফিল্মমেকার ইংমার বারিমন [প্রচলিত ইংরেজি উচ্চারণ, 'ইঙ্গমার বার্গম্যান' নামেই যিনি সারা দুনিয়ায় অধিক খ্যাত]। জীবনের শেষ বছরগুলোতে নিজে করার জন্য যেসব কাজ তিনি নির্ধারণ করেছিলেন, সেগুলোতে জুড়ে নিয়েছিলেন কন্যাকে।
জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছে তার জীবন ও ভাবনা কেমন ছিল, তা ঘিরে লেখা হয়েছে একটি বই।
বারিমনের জীবনের সৃজনশীল প্রক্রিয়ার কেন্দ্রিকতার ওপর জোর দিয়ে, অসলোতে লিন আমার সঙ্গে আলাপকালে সেই প্রকল্পের শুরুর কথা স্মরণ করলেন: 'কাজের প্রসঙ্গ যখন আসত, তখন আমরা ঠিকই জানতাম, কী করণীয়। আমরা কাজ করছি- ব্যাপারটা ভালোই। বইটি যখন লিখছিলাম আমরা, আলাপ-আলোচনার সময় অনেক মজা করেছি; আর সেই আলাপের ভিত্তিতেই গড়ে উঠছিল এ বই।'
শিরোনাম নিয়ে মশকরা করে বারিমন বলেছিলেন, 'লেইড অ্যান্ড সেইড ইন এলদোরাদো ভেলি'- এই ফেজই যুৎসই; এই নামে একটা সিনেমা করার আশা তার বরাবরই ছিল।
আসলে, সেই গল্প ২০০৭ সালে বারিমনের মৃত্যুর এক দশক পর আবির্ভূত হয়েছে লিনের ষষ্ঠ উপন্যাস 'আনকোয়াইট'-এ। এটি বস্তুত স্মৃতিকথা, ফিকশন ও চিন্তনের এক দাপুটে ও অসংলগ্ন মিশেল; সবকিছু এখানে একত্রে একটি খণ্ডিত কাঠামোতে রূপ নিয়েছে, যেটি আলোকপাত করেছে বাখের 'সেলো স্যুটস'সহ আরও যা কিছু বারিমনের প্রিয় ছিল, সেগুলোর ওপর।
লিন আমাকে জানালেন, 'আমি কোনোদিনই লিখিনি, এমন এক বইয়ের ধ্বংসস্তূপের' ওপরই গড়ে উঠেছে এই কাজ। প্রচুর চিঠিপত্র, ফোনকল, মিটিংয়ের মধ্যে বাবা-মেয়ে যখন সানন্দে নিজেদের প্রকল্পটির পরিকল্পনা করছিলেন, তখন 'স্রেফ বুড়িয়ে যাচ্ছিলেন' বারিমন।
বসন্তে কাজটি শুরুর তৎপরতা যখন দেখা গেল, তারপর গ্রীষ্মে, মৃত্যুর আগে তার শারীরিক ভঙ্গুরতা তখন অন্য কিছুর সঙ্গে গিয়েছিল জুড়ে: 'সবকিছু অনেক বেশি বদলে গিয়েছিল; মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তার ভাষা বদলে গেল, তিনি স্মৃতিশক্তি হারাতে লাগলেন- যা তার আর আমার কাছে একেবারেই স্পষ্ট হয়ে ওঠল। ব্যাপারটি এমন, যেন তার মনের সবগুলো জানালাই এতটা খুলে গিয়েছে, সবকিছুকেই তার কাছে এত বাস্তব লাগছিল, আবার সবকিছুকেই লাগছিল এতটা কল্পনা বা স্বপ্নের মতো- এগুলোর মধ্যে পার্থক্য ধরতে পারার সক্ষমতা তার আর সবসময় ছিল না।'
তাদের দুজনের মধ্যে ছয়টি কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছিল হামার্সে- সুইডিশ ফারো দ্বীপে থাকা বারিমনের বাড়িটিতে; আর সেটিই 'আনকোয়াইট'-এর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র, তবে দীর্ঘকাল লিন ওই কথোপকথনগুলো অবশ্য বাজিয়ে শুনেননি। তিনি সেগুলোকে সেই 'বিরাট ব্যর্থ প্রকল্পে'র অংশ ভাবতেন, যে পরিণত হয়েছিল অসম্পন্ন প্রকল্পটির: 'ওই টেপগুলো শোনা অনেকটাই বাস্তবিক যন্ত্রণার হয়ে উঠেছিল। এ কারণে টেপ রেকর্ডারটি আমি স্রেফ দূরে সরিয়ে রাখতাম।... আমি বলতে চাচ্ছি, প্রকল্পটি আমার আরও আগেই শুরু করা উচিত ছিল, মানে আমরা এ কাজ আরও আগেই শুরু করার ব্যাপারে আমি জোর দিতে পারতাম। যখন আমরা দুজন ওখানে বসে থাকতাম, তাকে তখন আমার আরও ভিন্ন ভিন্ন প্রশ্ন করা উচিত ছিল। আরেকটু ভালো মানের টেপ রেকর্ডার নেওয়া উচিত ছিল আমার; কেননা ওই টেপ রেকর্ডার খুব একটা সুবিধার ছিল না। আমার অত উচ্চস্বরে কথা বলা উচিত হয়নি।'
চিলেকোঠা থেকে ওই টেপ রেকর্ডার পুনরুদ্ধার করার ব্যাপারে লিনকে আসলে তাগাদা দিয়েছিলেন তার স্বামী, লেখক নিয়েলস ফ্রেদরিক দ্যল: 'বইটা লেখার আগে তুমি কি ওটা শুনতে চাও না? আমি কিন্তু শুনেছি। অনুলিখন করেছি। সুইডিশ থেকে নরওয়েজিয়ান ভাষায় অনুবাদও করেছি। সত্যিই এ এক দারুণ জিনিস।'
এইসব প্রাথমিক অনুভূতি, নিঃসন্দেহে, এমন মনস্তাপ থেকেই আসে- যেটির সঙ্গে মৃত্যু জড়িত। আমাদের দুজনের আচরণ দুই ধরনের ছিল- এই বিশ্বাস থেকে, আমরা বোধ হয় কোনো না কোনোভাবে নিজেদের শোক প্রশমিত, কিংবা আমাদের ভালোবাসার মানুষটির কোনোকিছুকে আরও বেশি সংরক্ষণ করি। কিন্তু লিনের বেলায়, এখানে একটি বিশেষ ধরনের বোধ অগ্রাধিকার পেয়েছে- অনেকটাই প্রাথমিকভাবে- অভিজ্ঞতার প্রশ্নে।
তার জন্ম ১৯৬৬ সালে, ঠিক যে বছর বারিমন 'পারসোনা' সিনেমাটির মুক্তি উদযাপন করেছেন। তার মা, নরওয়েজিয়ান অভিনেত্রী লিভ উলমন ছিলেন ওই সিনেমার তারকা; সেখানে তিনি একজন অভিনেত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন- যে কি না হুট করেই কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে এবং যাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে একটি কটেজে- এক সেবিকার তত্ত্বাবধানে- যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিনি আন্দারসন। নিউমোনিয়া থেকে সেরে ওঠার কালে, দুই নারীকে মাথায় রেখে, একটানা ওই স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন বারিমন। ওই সিনেমার শুটিং হয়েছে সেই ফারোতে- যে অঞ্চলকে পরবর্তীকালে তিনি শুধু নিজের বাড়িই নয়, বরং এক ধরনের রাজ্য করে তুলেছিলেন; নিরন্তরভাবে বানিয়েছিলেন একের পর এক দালান- যেগুলোতে একটা সিনেমা-হল ও একটা রাইটিং লজও ছিল।
বারিমন ও লিভ উলমন জুটি একসঙ্গে ১০টি সিনেমা করেছেন; তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কও শুরু হয়েছিল। বারিমনের তখন ৪৭ বছর বয়স, ইতোমধ্যেই চারবার বিয়ে করেছেন ও আট সন্তানের জনক হয়েছেন; লিভ তার চেয়ে ২০ বছরের ছোট এবং বিবাহিতা [বস্তুত, লিনের জন্মের সময় লিভের চিকিৎসক স্বামী উপস্থিত ছিলেন]। এই ফিল্মমেকার ও লিভ- যাকে অনেক সময়ই ফিল্মমেকারটির অন্যতম উপপত্নি হিসেবে গণ্য করা হয়, এক সময় আলাদা হয়ে গেলেন। আরেকটা বিয়ে করলেন বারিমন।
বারিমনের নবম ও সর্বশেষ সন্তান লিন গ্রীষ্মকাল হামার্সেই কাটাতেন। বাকি সময় থাকতেন নিজের মায়ের কাছে, অসলো ও যুক্তরাষ্ট্রে; সঙ্গে থাকতেন তার নানী। লিভ যখন কাজে বাইরে থাকতেন, তখন লিনের দেখাশোনা করতেন কোনো না কোনো শিশুলালনকারিনী।
'আমি বাবারও মেয়ে ছিলাম, মায়েরও,' 'আনকোয়াইট'-এ লিখেছেন তিনি, "কিন্তু একসঙ্গে 'দুজনের' সন্তান ছিলাম না; আমরা তিনজন একসঙ্গে ছিলাম না কখনো। আমার ডেস্কে ছড়িয়ে থাকা ছবিগুলোর হাতড়ে বেড়িয়েও তিনজনের একসঙ্গের একটাও ছবি খুঁজে পাই না। মা, বাবা ও আমি- এই জমায়েতের কোনো অস্তিত্ব নেই।'
বইটির চূড়ান্ত ফর্ম ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে উঠেছে; উত্তম পুরুষ ন্যারেশনকে ছেদ করে গেছে একটি অপেক্ষাকৃত অধিক উপন্যাসধর্মী গদ্য, যেখানে 'বালিকাটি', 'বাবাটি' ও 'মেয়েটি' ঢুকে পড়েছে একে অন্যের কক্ষপথে। তাদের বাস্তব কিংবা কাল্পনিক- কোনো নামই দেওয়া হয়নি। ন্যারেটিভে থাকা 'তুমি' প্রসঙ্গটি এক পর্যায়ে আমি উল্লেখ করলে, বিনম্রভাবে সংশোধন করে দিলেন লিন- 'বালিকাটি'। তবে 'আনকোয়াইট'-এর ভিত্তি হিসেবে তার নিজের ও তার পরিবারের জীবন কাজ করেনি, এমন ইঙ্গিত রাখার কোনো উদ্দেশ্যও তার ছিল না; বরং বলেছেন, সাহিত্যধারার মধ্যে একটা স্পেস তৈরি করতে চেয়েছিলেন তিনি। 'শব্দগুলোর ভেতর আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছি,' আমাকে তিনি বলেন। র্যাচেল কাস্ক, ডেবোরা লেভি, জন বার্জার, এডউইচ ডান্টিক্যাট ও এমিলি ডিকিন্সনের মতো লেখক, পিনা বুশ ও মার্চ কামিংহ্যামের মতো কোরিওগ্রাফার এবং জন কেজের মতো কম্পোজারের সৃষ্টিকর্ম তাকে প্রেরণা জুগিয়েছে।
বারিমন যদি এই বইয়ের নিরন্তর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন, তাহলে বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী লিভ উলমনের জায়গা এটির উন্মত্ত প্রান্তগুলোতে। হামার্সের নিঃসঙ্গতা ও আত্মদর্শন যেখানে বারিমনের দুনিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে, সেখানে লিভ অসলো, লস অ্যাঞ্জেলেস ও নিউইয়র্কের কামান দাগান- আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজের কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে, যার অভিজ্ঞতার মধ্যে রয়েছে- ম্যানহাটনের একটি হোটেলের করিডরে মারগট ফন্টেইন তার চুল এলোমেলো করে দিয়েছিলেন এবং তার মায়ের রাশিয়ান প্রণয়পিয়াসী পাঠিয়েছিলেন এক বাক্স ক্যাভিয়ার। তার বাবা-মায়ের ভিন্ন ভিন্ন কক্ষপথও সংস্কৃতিতে তাদের ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকার প্রতিফলন ঘটিয়েছে: 'একজন খুবই পরম্পরাগত পুরুষ শিল্পী, অন্যজন অভিনেত্রী; একজন তাকিয়ে দেখেন, আরেকজন নিজেকে দেখান।'
শৈশবে মায়ের ভালোবাসার কাঙাল থাকার কথা মনে পড়ে লিনের; আর তাতে জুড়ে রয়েছে অপরিসীম কষ্টও। যেমন ধরুন, মা ফোন করতে দুয়েক মিনিট দেরি করলেই কষ্টে বুক ভেঙে যেত লিনের: 'মায়ের প্রেমে পাগল ছিলাম আমি। শুধু তার অবিশ্বাস্য সৌন্দর্য্যের জন্য নয়; তার সৌন্দর্য্য প্রসঙ্গে লিখেছি: কী রকম প্রগাঢ়, দাপুটে ও উন্মাদ সৌন্দর্য্য তার ছিল; এবং সেটি আমাদের ওপর কী কী ভূমিকা রেখেছে ও আকাঙ্ক্ষা জাগিয়েছে। কিন্তু যখন আপনি নিতান্তই শিশু, অথচ এ রকম অবিশ্বাস্য ভালোবাসার ধাক্কা খেয়েছেন, সেটিকে ভাষায় প্রকাশ করার মতো শব্দ খুঁজে পাবেন না। যখন আপনি প্রাপ্তবয়স্ক, অথচ এটি বেপরোয়া, এটি স্পৃহা আর এটি উপলব্ধি হয়ে ওঠে যে- এই মানুষ অদৃশ্য হয়ে গেলে আমি ঠিক মরেই যাব, আমি বাঁচতে পারব না, তখনো সেটি ভাষায় প্রকাশ করার মতো শব্দ খুঁজে আপনি আসলেই পাবেন না।'
যখন-তখন অদৃশ্য হয়ে যাবেন বলে মনে হয়, এমন মায়ের সন্তান হওয়া নিশ্চয়ই খুব কঠিন বাস্তবতা- আমার মুখে এমন মন্তব্য শুনে লিন ঝটপট জানালেন, ১৯৭০-এর দশক থেকেই কর্মব্যস্ত এবং একইসঙ্গে অবিবাহিতা মায়ের জীবন লিভের; আর তাকে প্রায়শই জীবন কাটাতে হয়েছে সমালোচনামুখর আমজনতার তীক্ষ্ণদৃষ্টির নিচে। লিন নিজে পাপারাজ্জি ফটোগ্রাফ ঘৃণা করেন, তিনিও এমন ছবিতে ধরা পড়েছেন এবং তার নিজ শৈশবের এ ধরনের নজির তাকে অপমানবোধ দিয়েছে: যেমন, একা বিমানে চড়ে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় তার গলায় ঝুলানো ছিল একটি প্লাস্টিক ফোল্ডার। 'শিশু হতে চাইতাম না আমি। কী করে শিশু হতে হয়, জানতাম না। শিশু হতে কিঞ্চিৎ লজ্জাবোধ হতো আমার।'
বইটিতে তার মায়ের ভূমিকা কী, জানতে চেয়েছিলাম। 'এর সবটুকুই তার জানা,' বললেন তিনি, দারুণ এক উদ্দীপনা নিয়ে। 'আমি বলতে চাচ্ছি, তিনি তো একজন শিল্পী।'
'আনকোয়াইট'-এর শেষ দিকে, ১৬ বছর বয়সী বালিকাটি একা প্যারিসের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ে। যা কিছুর মুখোমুখি সে হয়, তা ফুটে ওঠবে একটি 'বিচ্ছিন্ন' ট্রিলজির অংশ হিসেবে লিনের কল্পনা করে নেওয়া দ্বিতীয় বইটিতে। 'ওই মেয়ের প্রতিকৃতি ওখানেই থেমে গেছে,' বলেন তিনি। 'এটি আর সামনে আগাবে না; এবং মা কিংবা মেয়ের ঘটনার এরচেয়ে বেশি উদ্ঘাটন করবে না। হ্যাঁ, তার দেখা পাঠক আবারও পাবেন, যখন সে বয়স্ক হয়ে গেছে। ধরুন, চল্লিশের কোঠায় বয়স যখন। এখন তো আমি আরও বেশি বয়স্ক [লিনের বয়স এখন ৫৪]। ফলে ওই বই আমি এই বয়সের অবস্থান থেকে লিখব।'
নরওয়েতে 'আনকোয়াইট' যখন প্রথম প্রকাশ পায়, এক সাংবাদিক ফোন করে লিনের কাছে 'পাঁচ মিনিট' সময় চেয়েছিলেন- এই বইয়ে কতটুকু কল্পনা আর কতটুকু বাস্তব, তা জানার জন্য। তিনি হাসলেন। পাঁচ মিনিটে তো এই বিবেচনার আলাপ শুরু করাই সম্ভব নয়। আসলে, দৃশ্যতই এর জন্য একজীবন সময় লেগে যায়।
- গার্ডিয়ান থেকে অনুবাদ: রুদ্র আরিফ