আবারও ত্রাতা মুশফিক, বাংলাদেশের ২৪৬
দল বিপদে পড়লেই তিনি ত্রাতা হয়ে ওঠেন। দলকে পথ দেখানোর কাজ নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকনে মুশফিকুর রহিম। আরও একবার দলকে আলোর পথে রাখলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। শুরুতেই দিক হারিয়ে বসা বাংলাদেশকে মুশফিক এনে দিলেন লড়াইয়ের পূঁজি।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অসাধারণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুশফিক। তার সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২৪৬ রান।
প্রথম ওয়ানডেতে মুশফিকের ব্যাটেই মাঝারি স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। ৮৪ রান করে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এমন ঝুঁকি নেননি তিনি। দলের অবস্থার কথা মাথায় রেখে এক পাশ আগলে ব্যাটিং করে গেছেন মুশফিক।
সেঞ্চুরি পূরণ করতে ১১৪ বল খরচা করেছেন বাংলাদেশের অন্যতম এই ব্যাটিং ভরসা। যেখানে ৪ ছিল মাত্র ৬টি। কিন্তু সেঞ্চুরি পূর্ণ করেই দ্রুত রান তোলার কাছে মন লাগান তিনি। পরের ১৩ বলে ৪টি চারে ২৫ রান তুলেছেন মুশফিক। অথচ হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পথে মাত্র একটি চার মারেন তিনি।
বাজে শুরুর পর তার ওপর যে দায়িত্ব বর্তিয়েছিল, তা অতি সাবধানতার সঙ্গে পালন করে গেছেন মুশফিক। ১২৭ বলে ১০টি চারে ১২৫ রান করে কেবল দলকেই বাঁচাননি তিনি, নিজের অপেক্ষাও ফুরিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান।
এই সেঞ্চুরির দেখা পেতে ২৩ মাস ও ১৫টি ইনিংস অপেক্ষা করতে হয়েছে মুশফিককে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের জুলাইতে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এরপর কয়েকবার সুযোগ তৈরি করেও তিন অঙ্কে পৌঁছানো হয়নি তার। বিশ্বকাপেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮৩ রানে আউট হয়ে যান মুশফিক। বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
ওয়ানডেতে এটা মুশফিকের অষ্টম সেঞ্চুরি। তামিম ইকবাল ১৩টি সেঞ্চুরি নিয়ে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবার উপরে। ৯টি সেঞ্চুরির মালিক সাকিব আল হাসান দুই নম্বরে। মহাকার্যকর এই ইনিংসটি খেলার পথে ওয়ানডের রানে সাকিবকে পেছনে ফেলেছেন মুশফিক। ওয়ানডেতে মুশফিকের রান এখন ৬ হাজার ৫৫৩। ৬ হাজার ৪৫১ রান নিয়ে সাকিব দুই নম্বরে। ৭ হাজার ৫১৭ রানের মালিক তামিম ইকবাল সবার উপরে।
শুরুটা দুঃস্বপ্নের হয় বাংলাদেশের। ১৫ রানের মধ্যেই ফিরে যান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। লিটন দাসও ইনিংস বড় করতে পারেননি, ২৫ রান করে থামেন তিনি। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৮৭ রানের জুটি গড়েন মুশফিক। মাহমুদউল্লাহ ৪১ রান করেন। শ্রীলঙ্কার দুসমন্থ চামিরা ও লক্ষণ সান্দাকান ৩টি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া ইসুরু উদানা ২টি ও ভানিন্দও হাসারাঙ্গা একটি উইকেট নেন।