উয়েফা, ফিফা শুধু টাকার কথাই ভাবে: কর্তোয়া
খেলোয়াড়দের সুস্থতার কথা বিবেচনা না করে মৌসুমজুড়ে ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানোয় উয়েফা ও ফুটবলের অভিভাবক সংঘটনগুলোর সমালোচনা করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া।
উয়েফা ন্যাশন্স লিগে ইতালির বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের পর এই সূচির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেন কর্তোয়া, এবং অভিযোগ করেন, ফিফা এবং উয়েফা শুধু টাকার কথাই বিবেচনা করে।
ম্যাচশেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কর্তোয়া বলেন, "এটা শুধু টাকার খেলা এবং এ ব্যাপারে সত্যটা বলা উচিত আমাদের। আমরা এই ম্যাচটি খেলেছি কারণ উয়েফার জন্য এটি কিছু বাড়তি টাকা ও টিভিতে একটি বাড়তি ম্যাচের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।"
"হ্যাঁ, এটা আমাদের জন্য একটি ভালো ম্যাচ কারণ আমরা ইতালির বিপক্ষে খেলেছি। এবং ইতালির জন্যও ভালো, কারণ তারা বেলজিয়ামের বিপক্ষে খেলেছে। দুই পক্ষ তো অবশ্যই বলবে তারা ম্যাচটি খেলতে চেয়েছিল, কিন্তু দুই দলের দিকে তাকান, দেখুন তারা কয়জন খেলোয়াড় বদলেছে। এই দুই দল যদি ফাইনালে খেলত, তাহলে একাদশ একদম ব্যতিক্রম হতো। এটাই প্রমাণ করে যে আমরা আসলে অনেক বেশি ম্যাচ খেলি।
"জুনে ন্যাশন্স লিগের ম্যাচ ছিল চারটি। কেন? সামনের বছর আমাদের নভেম্বর মাসে বিশ্বকাপ খেলতে হবে, এবং জুনের শেষ পর্যন্ত খেলে যেতে হবে (মৌসুমের ফুটবল)।
"স্বাভাবিকভাবেই, আমরা ইনজুরড হবো। কেউ এখন আর খেলোয়াড়দের কথা চিন্তা করে না। একটি দীর্ঘ মৌসুম শেষে আপনার আবার আবার ন্যাশন্স লিগের ম্যাচ খেলতে হবে। আপনি ছুটি পাবেন মাত্র দুই সপ্তাহ। সর্বোচ্চ স্তরে ১২ মাস চালিয়ে যাওয়ার জন্য এটা মোটেও পর্যাপ্ত না।
"আমরা কিছু না বললে এটা সবসময় এভাবেই থেকে যাবে। ক্লাবগুলো সুপার লিগ চায় এটা নিয়ে তারা (উয়েফা, ফিফা) রাগ দেখাতে পারে, কিন্তু খেলোয়াড়দের কথা তো চিন্তা করে না তারা। শুধু নিজের পকেটের কথাই ভাবে। এখন আবার শুনছি, প্রতিবছর একটি ইউরো বা বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে তারা। তাহলে আমরা বিশ্রামটা নিবো কখন? কখনোই না।
"খেলোয়াড়রা ইনজুরড হবে। ইনজুরড হতেই থাকবে। আমরা তো রোবট না। বেশি খেলা, কম বিশ্রাম, কেউই আসলে আমাদের কথা ভাবে না।"
বর্তমানে প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে ফিফা। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে প্রতি গ্রীষ্মেই বিশ্বকাপ ও ইউরোর মতো বড় কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে হবে ফুটবলারদের। ওদিকে উয়েফার প্রস্তাবিত নতুন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মডেল অনুসারে জানুয়ারির আগেই ১০টি করে ম্যাচ খেলবে ক্লাবগুলো। মৌসুমের প্রথমার্ধে প্রতি সপ্তাহেই তখন অন্তত দুটি করে ম্যাচ খেলতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থাকা ইংলিশ দলগুলোর।
সূত্র: মার্কা।