এক শর্তে মেসির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি বার্সা
১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। এরপর বার্সার চোখ দিয়ে স্বপ্ন দেখে গেছেন লিওনেল মেসি। দলকে এনে দিয়েছেন বহু আনন্দের উপলক্ষ, নিজে পরেছেন সেরার মুকুট। অবশেষে ২০ বছরের সম্পর্কে ভাঙনের সুর বেজেছে। দল ছাড়ার কথা বার্সেলোনাকে জানিয়েছেন মেসি।
যে দল নতুন জীবন দিয়েছে, সেই দলের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করার ইচ্ছা নেই আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকরের। দল ছাড়ার প্রক্রিয়াটা যেন সুন্দর হয়, এ কারণে বার্সার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান মেসি। আলোচনার কথা জানিয়ে আরেকটি বুরোফ্যাক্স করেছেন তিনি। কিন্তু মেসির সঙ্গে আলোচনায় বসতে নারাজ বার্সা।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল পিরিওদিকোর জানিয়েছে, মেসির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। কেবল একটি শর্তেই মেসির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি কাতালান ক্লাবটি। সেটা হচ্ছে চুক্তি নবায়ন করার আলোচনা। সিদ্ধান্ত পাল্টে মেসি যুক্তি নবায়ন করার সিদ্ধান্ত নেন, তবেই তার সঙ্গে আলোচনায় বসবে বার্সেলোনা।
দল ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পর থেকেই মেসিকে আটকে রাখার চেষ্টায় আছে বার্সেলোনা। মেসির দল ছাড়ার ফ্যাক্স পাওয়ার পর বার্সা পাল্টা ফ্যাক্স পাঠায় তাকে। যে ফ্যাক্সে বার্সা জানায়, চুক্তিকে সম্মান করে মেসি তার ক্যারিয়ার বার্সাতেই শেষ করবে বলে তাদের বিশ্বাস।
যদিও বার্সা ছাড়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকার মেসি। এর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, বার্সা সভাপতি জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউ পদত্যাগ করলেই কেবল দল ছাড়ার চিন্তা থেকে সরে আসবেন মেসি। কিন্তু বিষয়টি আর সেই পর্যায়ে নেই। বার্তোমেউ পদত্যাগ করলেও বার্সায় থাকতে চান না ক্লাবটির ইতিহাসের সফলতম এই ফুটবলার।
মেসির বিশ্বাস, বার্তোমেউ সরে গেলেও বার্সার পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আসবে না। এ কারণেই দীর্ঘ দিনের সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখার মানে খুঁজে পাচ্ছেন না আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড। যদিও বার্সা মনে করে, নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের পরিকল্পনারও মূল অংশ মেসি।
এসবে আর ভরসা পাচ্ছেন না মেসি। কারণ বার্সার দায়িত্ব নিয়েই সিনিয়র ফুটবলারদের সতর্ক করে দেওয়ার পাশাপাশি মেসিকে কোম্যান সোজা ভাষায় বলে দেন, 'বাড়তি সুবিধার দিন শেষ। এখন থেকে সবাই সমান।' আরও অনেক কারণ ছিল, কিন্তু নতুন কোচের এমন মনোভাব দেখে দ্রুতই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মেসি।